আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ২৪ নভেম্বর: চাপে পড়ে হাইস্কুলের খেলার মাঠ থেকে সরলো মেলা। বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রাক্তনীদের সেকথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন রামপুরহাটের মহকুমা শাসক এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের রামপুরহাট শহরের শতাব্দী প্রাচীন স্কুল বলতে হাইস্কুল। স্কুলের নিজস্ব খেলার মাঠ থাকলেও সেই মাঠে খেলার পরিবর্তে বাণিজ্যিক হিসাবে বেশি ব্যবহার করা হত। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি আরশাদ হোসেন নিজের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দিয়ে মেলা করে মুনাফা লুঠতেন বলে অভিযোগ। এবারও ১ ডিসেম্বর মেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো মেলা বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। খবর পেয়ে আন্দোলনে নামে স্কুলের প্রক্তনীরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে। স্মারকলিপি দেওয়া হয় প্রশাসনের সর্বত্র। এরপরেই নড়েচড়ে বসেন রামপুরহাট বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং মহকুমা শাসককে মেলা স্কুল মাঠ থেকে সরানোর নির্দেশ দেন। এরপরেই মেলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার খেলার মাঠ থেকে মেলা সরানোর দাবিতে মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় প্রাক্তনী এবং ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন। প্রাক্তনীর পক্ষে অমিতাভ হালদার বলেন, “আমরা চাই খেলার মাঠ খেলা ও শরীর চর্চার জন্যই ব্যবহৃত হোক। খেলার মাঠে সমস্ত রকম অনুষ্ঠান বাতিল করা হোক”।
যুব ফেডারেশনের রামপুরহাট ১ নম্বর লোকাল কমিটির সভাপতি জসিম শেখ, সম্পাদক ভবতারণ মণ্ডলরা বলেন, “তৃণমূলের প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের মাঠ দখল করে মোট টাকা মুনাফা লুঠছে। আর ছেলেরা খেলাধুলো করতে না পেরে বিপথগামী হচ্ছে”।
মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস জানিয়েছেন, খেলার মাঠে মেলা করা যাবে না। বিষয়টি উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।