রাজেন রায়, কলকাতা, ৭ জুলাই: এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় কারচুপির অভিযোগ সামনে আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিদেশি মুদ্রার অবৈধ লেনদেন এবং দেশের বাইরে বিদেশি মুদ্রা গচ্ছিত রাখা-সহ রফতানির খরচ দেখিয়ে ৭,২২০ কোটি টাকা পাচারের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ অভিযোগে বিদেশি মুদ্রা আইনের আওতায় (ফেমা) এবার কলকাতার শ্রী গণেশ জুয়েলারি এবং সেটির তিন প্রোমোটারকে নোটিশ পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নীলেশ, উমেশ এবং কমলেশ পারেখ দাগী অপরাধী বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এদের তিনজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা ছাড়াও নীলেশের বিরুদ্ধে সিবিআই, ডিরেক্টরেক্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, স্পেশাল ইকোনমিক জোন, ইডি, এমনকী আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও বিভিন্ন মামলা চলছে। সুইৎজারল্যান্ডেও একটি মামলার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইস্ট ফিট জুয়েলারি প্রাইভেট লিমিটেড নামে পারেখদের অপর একটি সংস্থার বিরুদ্ধেও ২৫০ কোটি টাকা ঋণখেলাপির জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকার প্রথম একশোয় রয়েছে গণেশ জুয়েলারী হাউস লিমিটেড। অভিযুক্তরা বিভিন্ন দেশে নিত্য নতুন শাখা খুলে ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং টাকা বিদেশে পাঠিয়েছে বলেও ইডির অভিযোগ। সেই কারণেই এই সংস্থাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।