হাতির হানায় মৃত্যুতে বাড়ছে আতঙ্ক

আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৪ ফেব্রুয়ারি: বিনপুর, লালগড়, জামবনি ও ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় হাতির দল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় এবং হাতির হানায় পর পর মৃত্যুর ঘটনায় জঙ্গলমহলে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে। হাতিগুলিকে ড্রাইভ করে এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বনদপ্তরের কর্মীদের। বেপরোয়া হাতির দল একনাগাড়ে মাঠের আলু, পিয়াজ, সরষে সহ বিভিন্ন শাকসবজি নষ্ট করছে। হাতির হানায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে চলেছে।

রবিবার জামবনি সংলগ্ন বনকাটি গ্রামে পিকলু শবরের মৃত্যুর পর সোমবার হাতির হানায় কল্যাণী শবর ও তার তিন বছরের শিশু কন্যার মৃত্যু হয়। তারপরেও হাতির দল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম বেলপাহাড়ি লালগড় ও জামবনি ব্লকের জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সোমবার সন্ধ্যের পর ঝাড়গ্রাম থেকে বেলপাহাড়ি ও বাঁকুড়া যাওয়ার পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়কের ওপর মালাবতী জঙ্গলে প্রায় ত্রিশটি হাতির একটি দল রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকায় ঘন্টাখানেক রাজ্য সড়কে যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। বনদপ্তরের কর্মীরা হাতিগুলিকে কুশবনির জঙ্গলের দিকে পাঠিয়ে দেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মঙ্গলবার সকালে ছয়টি হাতিকে ঝাড়গ্রাম ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। হাতির আরেকটি দল কুশবনির জঙ্গলে রয়েছে এবং কয়েকটি হাতি মালাবতী জঙ্গল থেকে বেলপাহাড়ির জঙ্গলের দিকে চলে গেছে বলে ঝাড়গ্রামের বিভাগীয় বনদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। ঝাড়গ্রামের 
ডিএফও বাসবরাজ হোলেইচি জানিয়েছেন, হাতিগুলি রূপনারায়ণ, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের মধ্যেই তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। বর্তমানে যে দু-তিনটি দল রয়েছে তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য মাইক প্রচার চালানো হচ্ছে।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here