দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ইচ্ছামতি নদীর সংস্কারের কাজ শুরু হল

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৬ মার্চ: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঐতিহ্যের ইছামতির সংস্কারের কাজ শুরু হল। প্রথম ধাপে ইছামতী নদীর কচুরিপানা তোলার কাজ হবে প্রায় ২৪ কিলোমিটার। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার বেড়িগোপালপুর-তরণীপুর থেকে এই কাজ শুরু হয়। তেঁতুলিয়া থেকে কালাঞ্চি পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে কাজ হবে। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ ওয়াটার ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা।

নাব্যতা হারিয়ে বহু দিন আগেই ইছামতী নদীটি মৃতপ্রায়। নদী বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীকে ফের স্রোতস্বিনী করে তুলতে হলে অবিলম্বে ইছামতীর বাংলাদেশের মধ্যে থাকা অংশ থেকে পলি তুলে সংস্কার করা জরুরি। ইছামতীকে বাঁচাতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ ইছামতী নদী সংস্কার সহায়তা কমিটি।’ কমিটির কর্মকর্তারা দাবি তুলেছেন, ইছামতীকে বাঁচাতে হলে নদীর যে অংশ বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, সেখানে পলি তুলে সংস্কার করতে হবে।

সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ফতেপুর থেকে নদীটি বাংলাদেশের শ্রীনাথপুরে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের মধ্যে ইছামতী রয়েছে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে নদী ফের এ দেশে প্রবেশ করেছে দত্তফুলিয়ায়। নদী ইছামতীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় প্রতি বছর ভারী বৃষ্টিতে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়। চাষের ক্ষতি হয়। ২০০০ সালে বন্যার পরে থেকে নদী সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার হন নদীপাড়ের মানুষ এবং বিভিন্ন সংগঠন।

ইছামতী নদিয়ার পাবাখালিতে মাথাভাঙা নদী থেকে বেরিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ শেষ হয়েছে। সেখান থেকে নদী দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়েছে। কালিন্দী ও ধানসা নামে নদী দু’টি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। নদী ২১০ কিলোমিটার লম্বা। এলাকার মানুষের দাবি, ২০০৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্র আলাদা ভাবে বার পাঁচেক নদী থেকে পলি তুলে সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। রবিবার নদী সংস্কারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, নদীর পাড়ের মানুষদের কথা দিয়ে ছিলাম ইছামতি নদী সংস্কার করব, সেই কথা রাখতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইছামতি নদী সংস্কারের কাজ। তেঁতুলিয়া থেকে কালাঞ্চি পর্যন্ত প্রায় ২৪ কিলো মিটারের কাজ প্রথম পর্যায়ে শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *