আমাদের ভারত, ২০ জুন: সরকারের কোনো কোনো সংস্কারমূলক কর্মসূচি প্রাথমিকভাবে অনেকের অপছন্দ হলেও পরে দেখা যায় সেটি আসলে দেশের উন্নয়নের একটি হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। সোমবার বেঙ্গালুরুতে একটি সভায় যোগ দিয়ে এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আকারে-ইঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতার জবাব এভাবেই দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় উত্তপ্ত হয়েছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি অগ্নিপথ প্রকল্পে সেনায় নিয়োগের নয়া নিয়ম-নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বেঙ্গালুরুর সভায় মোদীর এই মন্তব্যকে তার পাল্টা জবাব হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেনা প্রধানরা জানিয়েছেন, কোনোভাবেই এই প্রকল্পতে নিয়োগ আটকে যাবে না। কংগ্রেস এই প্রকল্পের বিরোধিতায় সত্যাগ্রহ কর্মসূচি নিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে রবিবার দিল্লিতে একটি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দেশের নাগরিকদের হিতের জন্য তৈরি সরকারি প্রকল্পে রাজনীতির রং লাগানোটা দুর্ভাগ্যজনক। এদিকে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। বাকি দুটি বিজ্ঞপ্তি আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে।
কর্ণাটকে দু’দিনের সফর উপলক্ষ্যে সোমবার সকালে ব্যাঙ্গালুরুতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি রাস্তা ও রেল প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ২৮ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। একই সঙ্গে ভারতের প্রথম শীততপ নিয়ন্ত্রিত রেলওয়ে স্টেশন বেঙ্গালুরু উদ্বোধন করেন।এছাড়াও তিনি কঙ্কন রেলওয়ে লাইনের ১০০% বৈদ্যুতিকরণের প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। দুদিনের কর্ণাটক সফরে গিয়ে বেঙ্গালুরুতে একটি বিমানবাহিনীর বেসেও উপস্থিত হন মোদী। বেঙ্গালুরু ও মাইসোর মিলিয়ে দশটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠান রয়েছে।