আমাদের ভারত, কলকাতা, ২ মার্চ: সন্তান ধারণের বয়সের মহিলাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড না খাওয়ায় নানা সময়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ফলিক অ্যাসিড দেওয়া হয় মূলত রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধ করতে। প্রতি বছর ৩ মার্চ দিনটা প্রতিবন্ধকতা নিবারণ দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়। এই বিশেষ দিনে এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরির উপযোগিতার কথা বললেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
কোনও নারী সন্তানসম্ভবা হয়েছেন কি না তা পরীক্ষা করা হয় গর্ভ সঞ্চারের বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে। তার মধ্যেই ভ্রূণের শিরদাঁড়া বা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বা (সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম) তৈরি হয়ে যায় এবং এই তৈরির সময়ে মায়ের শরীরে অতিরিক্ত ফলিক অ্যাসিডের প্রয়োজন।
বিশিষ্ট স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সন্দীপ চ্যাটার্জির মতে, এ ব্যাপারে সরকারের নীতি বদল করা দরকার। যাতে আয়োডিন যুক্ত লবণের মতোই ফলিক অ্যাসিডও যুক্ত করা যায় এবং সন্তান ধারণের বয়সের সব মহিলাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড পান। ফলিক অ্যাসিড অন্যদের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা কোনও ক্ষতি করে না।
কলকাতা প্রেস ক্লাব এবং দ্য ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক নিউরো সার্জারি ও দ্য স্পাইনা বিফিনা ফাউন্ডেশন (ওয়েস্টবেঙ্গল)-এর বিষয়টি নিয়ে বুধবার একটি আলোচনার আয়োজন করে।