সরকারি হাসপাতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে, রোগীর প্রাণের ঝুঁকির দায় কার? সরব সুকান্ত মজুমদার

আমাদের ভারত, ১৩ সেপ্টেম্বর: সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীকে দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ। এমনই অভিযোগ উঠেছে চন্দননগর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জরাজীর্ণ অবস্থা করেছে তৃণমূল সরকার।

সরকারি হাসপাতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে। রীতিমতো তার প্রমাণ দাখিল করে সরব হয়েছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার তিনি এক্স হ্যাণ্ডেলে লেখেন, “তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে জরাজীর্ণ অবস্থায় টেনে এনেছে। চন্দননগর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে যে রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে চলে যাচ্ছে তার দায় কে নেবে?” এই বক্তব্যের সঙ্গে ওষুধের প্রেসক্রিপশন এবং স্ট্রিপের ছবিও তিনি পোস্ট করেছেন।

যে ওষুধ জীবনদায়ী, যার জন্য রোগ মুক্ত হয় রোগী, সেই ওষুধ দিয়েই মৃত্যু পথে ঠেলে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে তাও আবার সরকারি হাসপাতালে। জানাগেছে, দু’ তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা মালতী মল্লিক। ১১ সেপ্টেম্বর চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান তিনি। তাকে আউটডোর থেকে ওষুধ দেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়িতে ওষুধ খেতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। তিন মাস আগে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওষুধ দেওয়া হয়েছে রোগীকে। রোগীর পরিবারের তরফে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে এই ঘটনাকে নিছক ভুল বলেই দায় ঝেড়ে ফেলা হয়েছে বলে খবর। তবে কি রোগীদের জীবনের কোন মূল্য নেই? রোগীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে? বাক্স ভর্তি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ছিল হাসপাতালে, অভিযোগ রোগীর পরিবারের। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের বেআইনি কারবার চলছে বলে অভিযোগ করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল। এবার সর্ষের মধ্যেই পাওয়া গেল ভূত। সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে এই রাজ্যে কি জনস্বাস্থ্য নিয়ে কোনো দায় নেই কারোর? মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে প্রাণ সংশয় হলে দায় কার?

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here