আমাদের ভারত, ১৩ জানুয়ারি:নয়া কৃষি আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পর্যালোচনা জন্য চার সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে আদালত। কিন্তু আদালতের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন কৃষকরা। তাদের দাবি যতদিন না এই আইন প্রত্যাহার হবে ততদিন তাদের আন্দোলন চলবে। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিকেও সহযোগীতা করতে নারাজ তারা। কারণ কমিটির সদস্যের উপর ভরসা নেই কৃষকদের। কমিটির চার সদস্যের কৃষি আইনকে সমর্থন করেছেন। আগে একাধিক সংবাদপত্রে কৃষি আইনের সমর্থনে তাদের মতামত প্রকাশিত হয়েছে। ফলে কৃষকদের দাবি তারা নিরপেক্ষ হয়ে কতটা কাজ করবেন তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।
শীর্ষ আদালতের গড়ে দেওয়া কমিটির সম্পর্কে কৃষকদের স্পষ্ট অভিযোগ, এই কমিটির সদস্যরা সরকার ঘনিষ্ঠ। এরা চারজনই আগেই প্রকাশ্যে এই কৃষি আইনের সমর্থন করেছেন। তাই তাদের ওপরে ভরসা নেই কৃষকদের। ঠিক এই কারণেই কমিটিকে সাহায্য করতে চান না তারা। আন্দোলনের নেতাদের বক্তব্য, “আমরা জানতাম নিজের ঘাড় থেকে দায় এড়ানোর জন্য সুপ্রিমকোর্ট একটা কমিটি গঠন করবে। তাই আগের দিন রাতেই আমরা জানিয়েছিলাম কোন কমিটির সঙ্গে আমরা কথা বলবো না। কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
সুপ্রিম কোর্ট যে কমিটি গঠন করেছেন তার চার সদস্য হলেন কৃষি অর্থনীতিবীদ অশোক গুলাটি, শ্বেতক্ষরি সংগঠনের সভাপতি অনিল ঘনওয়াত, ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সভাপতি ভূপেন্দর সিং মান, আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি বিশেষজ্ঞ প্রমোদকুমার যোশী। শীর্ষ আদালত এই কমিটিকে জানিয়েছে সব দিক খতিয়ে দেখে দু’মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দিতে। পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত এই নয়া কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ থাকবে।
কিন্তু এই কমিটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কৃষকদের। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই এই কমিটি তাদের প্রথম বৈঠক ডাকবে। কিন্তু সেখানে কৃষকরা অংশগ্রহণ করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। কৃষকদের হুঁশিয়ারি আইন প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে দিন দিন তার উত্তাপ আরোও বাড়বে। তাদের অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে সরকারই কমিটিকে এনেছে।