কলকাতার পুলিশ অফিসারের হাতে প্রহৃত বৃদ্ধ বাবা-মা, হাসপাতালে দাদা

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৬ নভেম্বর: কলকাতা পুলিশে কর্মরত ছেলের হাতে প্রহৃত হলেন বাবা-মা। রক্তাক্ত অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ কর্মীর দাদা। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুরে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের নাম রাজেশ গুপ্তা। তিনি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে এসটিএফের এএসআই পদে কর্মরত। অভিযোগ মাস পাঁচেক ধরে ওই পুলিশ অফিসার বাড়িতে ফিরে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে আশি ঊর্ধ্ব বাবা সত্তর ঊর্ধ্ব মায়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সেই অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। বড় ভাই রবি গুপ্তা বলেন, “আমি রামপুরহাটে ব্যবসা করি। সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বাবা ফোনে জানাল ভাই মারধর করছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে মল্লারপুরের বাড়িতে যাই। সে সময় ভাই আমাকে পেয়ে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। ধারালো অস্ত্রে আমার চোখের উপরের চামড়া কেটে রক্ত বের হতে থাকে। লোহার রড দিয়ে বুকে, কোমরে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। বাবা, মা, কাকিমা, খুড়তুতো ভাইরা বাঁচাতে এলে সকলকে মারধর করে। এরপর প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমাকে রক্ষা করে। বিষয়টি মল্লারপুর থানায় লিখিতভাবে জানাও হয়েছে। এর দিন কয়েক আগে মল্লারপুর থানায় বাবা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে মহকুমা শাসক এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিককেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে চলেছে। এমনকি ভাই হুমকি দিচ্ছে পুলিশ তার কিছু করতে পারবে না। কারন সে নিজেও পুলিশে চাকরি করে”।

যদিও এনিয়ে মুখ খুলতে চায়নি রাজেশ গুপ্তা। তাকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জানার পরেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়”। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত। তবে এনিয়ে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *