আমাদের ভারত, ২২ নভেম্বর: কাজ থেকে অবসরের আগে যদি বাবার মৃত্যু হয় তাহলে তার জায়গায় চাকরি পাওয়া যাবে। এমনটা ভেবেই বেকার ছেলে একেবারে গলা কেটে বাবাকে খুন করল। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে।পুলিশের জেরায় ছেলে সব দায় স্বীকার করেছে। পুলিশ তারপরই তাকে গ্রেফতার করে
ওই যুবকের বাবা সেন্ট্রাল কোল ফিল্ডস লিমিটেডে চাকরি করতেন। এটি একটি সরকারের অধীনস্থ সংস্থা। এই যুবক জানতো অবসরের আগে যদি বাবা মারা যায় তাহলে সে চাকরি পাবে।
যুবকের বয়স ছিল ৩৫। কিন্তু কোন চাকরি করতো না। তার বাবা কৃষ্ণ রামের বয়স ছিল ৫৫। সেন্ট্রাল কোল ফিল্ডস লিমিটেডের সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপে রক্ষীর কাজ করতেন তার বাবা। রামগড় জেলার বারখানাতে ছেলেকে নিয়ে কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশের তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখে মৃতদেহের পাশে একটি ছোট্ট ছুড়ি পড়ে রয়েছে। সেই ছুড়ি দিয়েই খুন করা হয়েছিল কৃষ্ণকে। ছুড়ি ছাড়াও সেখানে কৃষ্ণের ফোন পড়ে থাকতে দেখে তারা। তার ছেলে প্রথমে বলেছিল, কৃষ্ণ সেই সময় ঘরে একা থাকায় কেউ চুরি করতে ঢুকে তার বাবাকে মেরে ফেলেছে। কিন্তু ঘর থেকে কিছুই খোয়া না যাওয়ায় সন্দেহ হয় পুলিশের। ছেলে কথাতেও অসংগতি ধরা পড়ে। ঘটনার সময় সে কোথায় ছিল তার কোন সাক্ষী দেখাতে পারেনি সে।
তারপরে পুলিশ তাকে জেরা করতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত জেরার সামনে ভেঙে গিয়ে সে স্বীকার করে যে তার বাবাকে সে নিজে খুন করেছে। কারণ বাবার মৃত্যু হলে সহানুভূতির খাতিরে তাকে চাকরি দেওয়া হবে। কারণ সেন্ট্রাল কোল্ড ফিল্ডস লিমিটেডের সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মী কাজ করতে করতে মারা গেলে আইনত তার উত্তরসূরি চাকরি পেয়ে থাকেন। আর সেই জন্যেই সে এই কাজ করেছে।