পূর্ণিমার কোটালে বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামে জল ঢোকার আশঙ্কা

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৪ জুন: ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ। বহু জায়গাতেই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে গ্রাম। এখনো অনেক জায়গাতেই নদীর নোনা জল গ্রাম থেকে নামেনি। সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বাঁধ মেরামতির চেষ্টা করছে সেচ দফতর। ইতিমধ্যেই নদীর বাঁধের ভাঙ্গা অংশ কোনও রকমে মেরামতি করা হয়েছে। কিন্তু সেই জায়গা দিয়ে আবারও চু্ঁইয়ে চুঁইয়ে জল ঢুকছে গ্রামে।

বৃহস্পতিবার যে পরিমাণে জল নদীতে বেড়েছে তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এলাকার মানুষজন। অন্যদিকে পূর্ণিমার কোটাল শুরু হয়েছে। এই কোটালে নদীর জল প্রচুর পরিমাণে বাড়তে শুরু করেছে। আগামী তিনদিন আরও অনেকখানি জল বাড়বে। ফলে সেই বাড়তি জলের চাপ এই নড়বরে নদীবাঁধ রোধ করতে পারবে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাই আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। সেচ দফতরের উদ্যোগে যদিও যুদ্ধকালিন তৎপরতার সাথে নদী বাঁধ মেরামতির কাজ হচ্ছে, তবুও সেই বাঁধ কতটা জলের চাপ সহ্য করতে পারবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

ক্যানিংয়ের মধুখালি এলাকায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীবাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছিল আমফানে। মাতলা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। এই এলাকার মানুষজন এখনো ঘরছাড়া। বাঁধ মেরামতি হয়নি। এলাকার মানুষজন খুবই কষ্টে রয়েছেন। তার উপর আবারও পূর্ণিমার ভরা কোটালে বাঁধ ভেঙ্গে জল ঢুকলে তারা কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন তা নিয়েই আতঙ্কিত এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন। একই অবস্থা গোসাবার রাঙাবেলিয়া, পুঁইজালি, কালিদাসপুরের। তবে সেচ দফতরের তরফ থেকে অতিরিক্ত কর্মী ও জিনিষপত্র মজুত করা হয়েছে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায়, যাতে পূর্ণিমার কোটালে বাঁধ ভেঙ্গে গেলেও দ্রুত সেই বাঁধ মেরামতি করে ফেলা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *