আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৬ ডিসেম্বর: পিছন থেকে নিরস্ত্রকে মারা সবথেকে বড় অধর্ম। যদি সাহস থাকে দম থেকে তাহলে তোমরা মাঠ ঠিক কর বাঘ সিংহের লড়াই হবে। পিছন থেকে লড়াই করাটা কাপুরুষের কাজ। জয়পুরে তৃণমূলের হামলায় ৬ বিজেপি কর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় এইভাবেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের চ্যালেঞ্জ দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার উদয়নারায়ণপুরের খিলা চৌরাস্তায় “আর নয় অন্যায়” কমসূচিতে অংশ নিতে এসে এই চ্যালেঞ্জ দেন জয়।
এদিন জয় অভিযোগ করেন, বিয়ের পর ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ২০১৬ সালে শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে তৃণমূলে আসার জন্য অনেক প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। যদিও আমি তাদের বলেছিলাম জীবিতকালে আমি আমার মা বাবা ও নরেন্দ্র মোদীকে ছাড়তে পারবো না। আর সেই কারণে আমার স্ত্রীর সঙ্গে পুরোপুরি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। এদিন জয় অভিযোগ করেন, উদয়নারায়ণপুরে আমি সভা করার পর এলাকার বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেছিলেন, যে নিজের স্ত্রীকে সামলাতে পারে না সে কিভাবে বিধানসভা সামলাবে। আমি বিধায়ককে বলি আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে সুতরাং এটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা করার কোনও কারণ নেই। জয়ের দাবি, যখন সিনেমা করতাম তখন অনেক মেয়ে আমার ছবি তাদের বালিশের নীচে রাখত। সুতরাং আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে দিলেও আজও আমার কথা শুনলে তার চোখে জল আসে। জয় বলেন, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গার মত উদয়নারায়ণপুর ও সন্ত্রাস কবলিত এলাকা। শাসক দলের নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে সবকিছু চলে। তবে এইসব কারণে এখানকার মানুষ তিতিবিরক্ত। আর সেই কারণেই এবারে আমরা তৃণমূলের হাত থেকে উদয়নারায়ণপুর ছিনিয়ে আনতে পারব।
এদিন জয় বলেন, উদয়নারায়নপুর জেতাটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। লড়াই করার জন্য আপনারা প্রস্তুত হন। জয়ের দাবি, খুব শীঘ্রই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ খিলায় উপস্থিত হয়ে সকলের কাছে এই বার্তা দেবেন।
এদিনের এই কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সাধারণ সম্পাদক সুজয় চক্রবর্ত্তী, বিজেপি নেতা ভোলা সামুই সহ অন্যান্যরা।