শান্তিপুরে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের, গ্রেপ্তার ১

স্নেহাশিস মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৫ জানুয়ারি: নদিয়ার শান্তিপুরে তৃণমূল কর্মী খুনে মোট ১১ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হল। এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার ১। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এই খুন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে। খুন হওয়া যুবক আদৌ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কি না তা নিয়ে মতবিরোধ বিধায়ক গোষ্ঠী এবং চেয়ারম্যান গোষ্ঠীর মধ্যে।

উল্লেখ্য, গতকাল প্রকাশ্য দিবালোকে নদীয়া শান্তিপুর থানার বড়বাজার এলাকায় একটি জুয়ার ঠেকে কয়েকজন দুষ্কৃতীর হাতে খুন হন ওই এলাকার যুবক সান্তনু মাহাতো। মুখ বাঁধা অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সান্তনু মাহাতোকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে শান্তনু ওরফে গনা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর তড়িঘড়ি তাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল আবারো প্রকাশ্যে। মৃত সান্তনু মাহাতোর পরিবারের দাবি, সান্তনু শান্তিপুরের পৌরপতি অজয় দের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ষড়যন্ত্রে এই হামলা। বিধায়ক নিজে নেতৃত্ব দিয়ে তার ছেলেকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ করেন মৃত শান্তনুর মা বিশাখা মাহাত। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, তদন্তে প্রমাণ লোপাটের জন্য খুনের আগে সিসিটিভির তার কেটে দেওয়া হয়েছিল। অরিন্দম ভট্টাচার্যের দাবি, শান্তনু খুনের পেছনে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র নেই। তিনি সেইসময় ঐ রাস্তা দিয়ে আসছিলেন। ঐ এলাকায় ভিড় দেখে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন মাত্র। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই এই খুন হতে পারে। শান্তনু এলাকায় সমাজবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিল। সে কোনও তৃণমূল কর্মী নয়।

যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে। তিনি বলেন সান্তনু ওরফে গনা তৃণমূল কংগ্রেসের একজন দীর্ঘদিনের সক্রিয় কর্মী। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত পুলিশ সন্তু চৌধুরী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *