
সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১১ ফেব্রুয়ারি: পুলিশ লক আপেই মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। তাই পুলিশ এর দায় এড়াতে পারে না। সিঁথি থানায় পুলিশি হেফাজতে ব্যবসায়ী মৃত্যুর ঘটনায় দুই সাব ইনস্পেক্টর এবং এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন মৃতের ভাই রাকেশ সাউ। দুই সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দম দাস, সৌমেন্দ্রনাথ দাস এবং সিঁথি থানার সার্জেন্ট চিন্ময় মহন্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৬, ১৬৬-এ, ৩৩০, ৩৪২, ৩৪৮, ৩০৪ এবং ৩৪ ধারায় ওই এফআইআর করা হয়েছে।
পুলিশি হেফাজতে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু ঘিরে সোমবার রাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে সিঁথি। মৃত ব্যক্তির নাম রাজকুমার সাউ (৫৪)। তিনি মণীন্দ্র রোডে পুরনো লোহা এবং কাগজ কেনাবেচার ব্যবসা চালাতেন। রাজকুমার সাউয়ের বড় ছেলে অজয় সাউয়ের অভিযোগ, একটি চুরির তদন্তে জেরা করার জন্য, রাত ১১টা নাগাদ তাঁর বাবাকে থানায় নিয়ে যায় সিঁথি থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, রাজকুমার চোরাই জিনিস কিনেছেন। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজকুমার, এমনটাই অভিযোগ।
অভিযোগ, থানায় রাজকুমারের পরিবারের লোকজন উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, তাঁদের না জানিয়েই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। কোনওরকমে বিষয়টি তাঁদের চোখে পড়ে যায়। তার পর পুলিশের গাড়িতে রাজকুমারকে তুলে নিয়ে হাসপাতাল পৌঁছন। কিন্তু সেখানে রাজকুমারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সিঁথি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়-পরিজনেরা। এমনকি থানা ভাঙচুর করা হয়, বাধা দিতে গিয়ে আহত হন পুলিশ কর্মীরা।