আমাদের ভারত, ১৪ আগস্ট: প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রবেশ করছে ভারতের করোনা টিকা কোভ্যাকসিন। টিকার প্রথম রিপোর্টে ফলাফল ভালো। টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে জানা গেছে।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে দেশের ১২ হাসপাতলে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে এই টিকা দেওয়া হয়। এখনো পর্যন্ত ভারতের তৈরি সেই টিকা কেমন কাজ করছে তার প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে আনল ভারত বায়োটেক। রোহতক থেকে পিজিআই হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ডক্টর সবিতা ভার্মা জানিয়েছেন, তাদের টিকা মানুষের শরীরের সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্রথমবার টিকার ডোজ দেওয়ার পর এতদিন পর্যবেক্ষণই ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এবার তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। টিকার প্রভাবে এখনও পর্যন্ত কোনো সাইডএফেক্ট দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ডঃ ভার্মা জানিয়েছেন টিকার প্রভাবে রক্তে অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে কিনা তা জানতে ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবকদের রক্তের নমুনা টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের কতটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে মানুষের শরীরে। বি-কোষ সক্রিয় হলেই অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হবে তখন টিকার ডোজ নির্ধারণ করা হবে।
বিশ্বে প্রায় ১৪০ রকম করোনা ভ্যাকসিনের মধ্যে প্রায় ১৪টি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে মানুষের শরীরে। ভারতে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে হায়দ্রাবাদের ফার্মেসিউটিক্যাল কোম্পানি ভারত বায়োটেক ও জাইডাস ক্যাডিলা। দুটি ভ্যাকসিনেরই দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।