ঝড়ে ট্রলার ডুবিতে ৬ দিন পরেও নিখোঁজ এখনো কয়েকজন মৎস্যজীবী

আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৫ নভেম্বর: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কবলে পড়ে গত শনিবার বিদ্যাধরী নদীতে ডুবে যায় মাছ ধরার একটি ট্রলার। তারপর কেটে গেছে ছয় দিন। এখনো খোঁজ মেলেনি ট্রলারে থাকা তিন মৎস্যজীবীর। আর তাই দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছে ওই ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলো।

গত ১ লা নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থেকে সাগরকন্যা নামে একটি ট্রলারে চেপে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকারে গেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ১০ জন মৎস্যজীবী। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সতর্কবার্তা পেয়ে তড়িঘড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হয় ট্রলারটি। বঙ্গোপসাগর থেকে বিদ্যাধরী নদী পেরিয়ে ট্রলারটি চলে আসে বেশ খানিকটা ভেতরের দিকে। কিন্তু, একদম নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর আগেই বুলবুলের দাপটে উত্তাল হয়ে ওঠে নদী। নোঙ্গর করতে বাধ্য হন মাঝি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ছিঁড়ে যায় নোঙ্গর। ট্রলারটিকে একপ্রকার টানতে টানতে নদীর গভীর অংশে নিয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়। আর সেখানেই উত্তাল বিদ্যাধরীর বুকে ভেঙে যায় ট্রলারের পাটাতন। আর ডুবে যায় ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা দশজন মৎস্যজীবীর মধ্যে কোনরকম সাঁতার কেটে পাড়ে এসে ওঠে ট্রলারের মাঝি সহ তিন মৎস্যজীবী। নিখোঁজ হয়ে যান সাত জন। তারপর কেটে গেছে ছয় দিন। ইতিমধ্যে চার জন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার হলেও এখনও কোন খোঁজ নেই ওই ট্রলারে থাকা তিন মৎস্যজীবীর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানার জগুদাসবাড় গ্রামের শম্ভু দাস ও শিল্লীবাড়ি গ্রামের চন্দন দাস ছিলেন ওই ট্রলারে। কোনও খোঁজ নেই তাদের। সময় যতই গড়াচ্ছে, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে মারিশদার এই দুই মৎস্যজীবী পরিবারে। ক্রমশ দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে পরিবারের সদস্যদের।

৯ই নভেম্বর শনিবার ডুবেছিল ট্রলার। নিখোঁজ সাত জনের মধ্যে ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে চার জনের মৃতদেহ। এখনও খোঁজ নেই তিন জনের। তবে, শম্ভু দাসের স্ত্রী বাসন্তী দাস আশা করেন সুস্থ ভাবেই ফিরে আসবেন তার স্বামী।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here