আমাদের ভারত, ২৩ এপ্রিল:দু বছরের এক শিশুসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে খুন করলো দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের খেবরাজপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দুষ্কৃতীরা এক প্রৌঢ় দম্পতিকে, তাদের মেয়ে, পুত্রবধূ এবং নাতনিকে খুন করেছে। তবে বেঁচে গেছে ওই পরিবারের ৫ বছরের একটি শিশু।
মৃতেরা হলেন রাম কুমার যাদব বয়স ৫৫, কুসুম দেবি বয়স ৫২, মনীষা বয়স ২৫, পুত্রবধূ বয়স ২৭ আর দুই বছরের নাতনি মীনাক্ষী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন শনিবার সকালে রামকুমারের বাড়ি থেকে ব্যপক পরিমাণে ধোঁয়া বের হতে দেখতে পান তারা। বাড়িতে আগুন লেগেছে এই আশঙ্কা করে স্থানীয় কয়েকজন মিলে রামকুমারের বাড়িতে ঢোকেন। কিন্তু বাড়িতে বুকে তারা যা দেখেন তাতে আঁতকে ওঠেন। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে পাঁচটি রক্তাক্ত দেহ। আর একটি ঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। রামকুমারের মেয়ে ওর পুত্রবধূর দেহ নগ্ন উদ্ধার হয়েছে। তার থেকেই অনুমান করা হয়েছে ধর্ষণের ঘটনা সেখানে ঘটে থাকতে পারে।
কিন্তু ওই বাড়ি থেকেই রামকুমারের বছর পাঁচেকের নাতনিকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তার চোখে মুখে তখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। বিরাট পুলিশ বাহিনীকে বাড়ি থেকে পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ দল গঠন করেছে পুলিশ।
অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ।
পুলিশ জানিয়েছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে পাঁচজনকে। কিন্তু কেন খুন করা হলো ? কারাই বা খুন করল সেই উত্তর খোঁজার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে রামকুমারের ৫ বছরের নাতনিকে কেন ছেড়ে দিলে দুষ্কৃতীরা? ওই পরিবারের পরিচিত কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সপ্তাহ খানেক আগেই প্রয়াগরাজ থেকে একই পরিবারের ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল ১৬ এপ্রিল। নবাবগঞ্জের একটি গ্রামে এক মহিলা সহ তার তিন মেয়েকে গলাটিপে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ঝুলন্ত অবস্থায় মহিলার স্বামীর দেহ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার প্রয়াগরাজেই আবারও একটি নৃশংস ঘটনা ঘটল।