সুুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৮ মে: বিপদের আঁচ করেছিল রাজ্য সরকার। আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতেই একে একে করোনা পজিটিভ হচ্ছেন তাঁরা। বাড়ি ফিরে আসার পর করোনা ধরা পড়ল চার পরিযায়ী শ্রমিকের। আর তার জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর, গাইঘাটা, গোবরডাঙ্গা, হাবড়া ও অশোকনগর এলাকায়। পাঁচ জনকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে প্রশাসন। তাঁদের পরিবারের লোকেদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, হাবড়ায় ফের ২ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। বেলেঘাটা ফুলবাগানে দশকর্মার দোকান ছিল বছর ৬০ এর এক বৃদ্ধের। ২০ তারিখ জ্বর নিয়ে বাড়িতে ফেরেন তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। দিনকয়েক আগে করোনা টেস্ট হয় এবং বুুুধবার রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়ে। হাবরার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লীমঙ্গল এলাকার বাসিন্দা তিনি। অন্যদিকে অশোকনগর বনবনিয়া ছোবা পট্টি এলাকায় এক পরিযায়ী শ্রমিক বছর ২৩ এর এক যুবকের পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।
অন্যদিকে গোপালনগরের চৌবেড়িয়া এলাকার এক মহিলা মুম্বাইয়ে কাজ করতেন পরিবার নিয়ে তার স্বামী দেওর ও ১২ বছরের মেয়ে। অন্যরা মাস খানেক আগে ফিরলেও ওই মহিলা দিন ১০ আগে ফেরেন মুম্বাই থেকে। ফিরে মছলন্দপুরে বাপের বাড়িতে যায়। স্থানীয়দের চাপে চৌবেড়িয়া আসতে বাধ্য হয়। বুধবার রাতে তার রক্তের রিপোর্ট আসে পজিটিভ। গাইঘাটার এক যুবক দিন দশ আগে সে মুম্বাই থেকে ফেরে। ট্রেন থেকে নামার সময় তার লালারস পরীক্ষা করানো হয়। বুধবার রাতে তার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। জানাগিয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বললেও সে এলাকায় ঘুরে বেড়াত। এমনকি প্রতিবেশী এক যুবতির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছেন। ওই মহিলা সহ এলাকার ৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন। এছাড়া গোবরডাঙ্গা এলাকায় এক পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনার সংক্রামণ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সমস্ত এলাকায় কন্টেন্টমেন্ট জোন করে, বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারইন্টন রাখা হয়েছে। এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু করেছে দমকল কর্মীরা।