গোবরডাঙা হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসাবে নব রূপে সংস্কার করে শুভ উদ্বোধন করলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৩ জানুয়ারি:
শুক্রবার সন্ধায় গোবরডাঙা হাসপাতালের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ সহ জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর বাম আমল থেকে গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল বন্ধ থাকার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুক্রবার রাত থেকেই গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি চালু হল আউটডোর পরিষেবাও।

প্রসঙ্গত বিগত বাম সরকারের সময় গোবরডাঙা হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আবার নতুন করে চালু হল গোবরডাঙা হাসপাতাল। খুশির হাওয়া গোটা গোবরডাঙ্গা এলাকা জুড়ে। এদিন গোবরডাঙা হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল গোটা হাসপাতাল চত্বর।

চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই হাসপাতালে নিয়োগ করা হয়েছে পাঁচ জন ডাক্তার ও সাত জন নার্স, এছাড়াও ২৪ জন গ্রুপ ডি কর্মচারীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ২০টি বেড নিয়ে এই করোনা হাসপাতালের পথ চলা শুরু হল। কয়েক বছর হাসপাতালের ভবনটি কার্যত অব্যবহারের কারণেই পরিকাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছিল। প্রায় দু’মাস ধরে হাসপাতালের ভেতরে পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছিল।হাসপাতালের ভেতরে বাইরে এখন ঝা চকচকে করা হয়েছে। জেলা পরিষদের কাছ থেকে স্বাস্থ্য দপ্তর হাসপাতালের দায়িত্ব নেওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা।

এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলেই স্বাস্থ্য পরিষেবার দিক দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের রূপ পাবে গোবরডাঙা হাসপাতাল। তবে আজ হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করলেও সাধারণ রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বাম দিকে একটি আউটডোর চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হয়েছে, সেখান থেকেই মিলবে সাধারণ রোগের চিকিৎসা পরিষেবা। অর্থাৎ করোনা চিকিৎসা পাশাপাশি সাধারণ রোগের চিকিৎসাও চালু থাকবে এই হাসপাতালে, জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
প্রসঙ্গত প্রায় ৬৪ বছরের পুরনো গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় গোবরডাঙ্গা হাসপাতাল চালু হওয়াতে খুশি আপামর গোবরডাঙাবাসী।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here