কি কি বিধি মানতে হবে ২০ তারিখের পর যদি লক ডাউন শিথিল হয়

আমাদের ভারত, ১৫ এপ্রিল: ২০ তারিখের পর কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে যেখানে লক ডাউন শিথিল করে
সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দেওয়া নির্দিষ্ট নির্দেশিকা মানতে হবে। মূলত কৃষক, দিনমজুরদের কথা মাথায় রেখেই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে কাজের জন্য খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। ২০ এপ্রিল পর যেসব কাজ কর্মের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার অন্যতম লক্ষ্য কৃষি ও কৃষি জাতীয় কাজ যাতে পুরোদমে চলে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক যেনো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। দিনমজুর এবং অন্যান্য শ্রমিকদের আয়ের সুযোগ হয়। নির্বাচিত শিল্পক্ষেত্রেও কাজ শুরু হবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, বাধ্যতামূলক ভাবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল বজায় রেখেই। কি কি বিধি মানতে হবে ….

বাড়ি থেকে বের হলেই পরতে হবে মাস্ক। কর্মক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্বে বিধি কঠোর ভাবে মানতে হবে সবক্ষেত্রে।

অফিসের ভেতর ক্যান্টিন, মিটিং রুম, ওয়াশরুম ইত্যাদি যাতে পরিষ্কার থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। মাঝেমধ্যেই তা স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে।

কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। কোন গাড়িতেই ৩০থেকে ৪০ শতাংশের বেশি যাত্রী না থাকে তার খেয়াল রাখতে হবে।

প্রত্যেকটি গাড়িকে নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে।

প্রত্যেক কর্মীর মেডিকেল বীমার ব্যবস্থা করতে হবে।

স্যানিটাইজার দিয়ে যাতে হাত পরিষ্কার রাখা হয়, তার পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করতে হবে।

প্রতিটি শিফ্টের মধ্যে অন্তত ১ ঘন্টা ব্যবধান রাখতে হবে।

বড় জমায়েত যাতে না হয় কিংবা লিফটে একসঙ্গে বেশি কর্মি যাতে না যাতায়াত করেন তার খেয়াল রাখতে হবে।

কোনভাবেই কাজের জায়গায় গুটকা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি হবে না। এই গুটকা জাতির পন্য বিক্রি সরকারের তরফে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিধি ভাঙলে শাস্তি যোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

প্রকাশ্যে থুতু ফেলা নিষিদ্ধ। এটিও শাস্তি যোগ্য অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হবে।

কর্মীর বাইরে অন্য কেউ যেন কর্মক্ষেত্রে সেখানে না আসে তার খেয়াল রাখতে হবে।

আর যে যে এলাকাগুলো হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হবে সেখানে প্রবেশ তথা বেরোনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *