আমাদের ভারত, ৪ আগস্ট: পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতার একের পর এক ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়ে চলেছে। এই ঘটনাকে বাঙালির আত্মসম্মানের বস্ত্রহরণ হরণ বলেই তুলনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আজ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধর্মতলার অবস্থান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সাধারণ মানুষ শিক্ষার জগতটাকে আলাদা সম্মানের চোখে দেখত। পশ্চিমবঙ্গে একজন সাংসদ বিধায়কের থেকেও একজন শিক্ষকের সম্মান বেশি। কিন্তু সেই সম্মানের জায়গাটা আজ আঘাত প্রাপ্ত। আজ শুধু মাত্র ঘুঁষের টাকা না দিতে পারার জন্য চাকরি পায়নি রাজ্যের শিক্ষিত বেকাররা।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যে রাজনৈতিক নেতারা চুরি করে বড়লোক হচ্ছে তারা সাধারণ চোরের থেকে বেশি ক্ষতিকর। কারণ সাধারণ চোররা আপনার কোনো নির্দিষ্ট জিনিস চুরি করলেও আপনার ভবিষ্যৎ চুরি করতে পারে না। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা আপনার ভবিষ্যৎ চুরি করছে। শিক্ষার ভবিষ্যত চুরি করেছে। চাকরি পাওয়ার অধিকার চুরি করেছে।” তাঁর কথায় অর্পিতার একের পর ফ্ল্যাটের সিন্দুক থেকে যে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে তা আসলে বাঙালির বস্ত্রহরণ করা আত্মসম্মান বের হচ্ছে।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই কোটি কোটি টাকা কার? এই টাকা কি রাণী মৌমাছির। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি শুধুই “বলি কা বকরা”? তৃণমূল দাবি করেছে, পার্থ কাণ্ডের বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি বলেন, যদি এই বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না বলেন তাহলে বলতে হবে তৃণমূল একটা ননসেন্স পার্টি।
রাজ্য মন্ত্রিসভার রদ বদল প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল আসলে একটা চোরের পার্টি, কাটমানির সিস্টেম। সেখানে মন্ত্রিসভার যত রদবদলই হোক সবাই চুরি করতেই আসবে। কাটমানির একটা খাদ্যশৃঙ্খল চলছে রাজ্য জুড়ে।”