আমাদের ভারত, ৫ জুলাই: প্রকৃতিই মানবকুলের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। ভুল করলে প্রকৃতই শিক্ষা দেয় মানবকুলকে। এবার গালওয়ানেও চিনা সেনাকে শিক্ষা দিল প্রকৃতি। গালওয়ান দখলে চূড়ান্ত আগ্রাসী মনোবৃত্তি দেখাচ্ছে লালফৌজ। এবার সেখানে গালওয়ান নদীই এখন প্রধান শত্রু হয়ে উঠেছে পিপল লিবারেশন আর্মির।
এলএসির নিকটবর্তী অঞ্চলে ভারত ও চিনা সেনার যেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঘাঁটি গেড়েছিল চিনা সেনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ওইসব এলাকা এখন গালওয়ান নদীর জলে ভেসে যাচ্ছে। ফলে সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে চিনা সেনা।
আকসাই চিন থেকে উৎপত্তি হয়েছে গালওয়ান নদীর। এখন সেখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বরফ গলছে। আর হুহু করে জল বাড়ছে নদীতে। অতিরিক্ত জলোচ্ছ্বাসে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে গালওয়ান নদী। এই পরিস্থিতিতে গালওয়ান নদীর আশেপাশে থাকা অত্যন্ত বিপদজনক।
সেনা সূত্রে সংবাদমাধ্যমে খবর, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে গালওয়ানের জলে ভেসে গিয়েছে চিনা সেনার একাধিক তাবু। সমতলের যে নদী বয় এবং পাহাড়ে যে খরস্রোতা নদী তার তফাৎ অনেক। বরফ গলা জলে ও বৃষ্টির জলে পাহাড়ি-নদী ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। পাহাড়ি নদীর হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে যায় দুই কুল। ফলে এই অবস্থায় খুব বেশিদিন উপত্যকায় টিকে থাকতে পারবেন না চিনা ফৌজ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে একের পর এক বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু বৈঠকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না রেখে সীমান্ত ঘেঁষে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে চিনা সেনা। কিন্তু এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাদের আগ্রাসী নীতি ধাক্কা খাবেই।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রাকৃতিক কারণে গালওয়ান, হট স্প্রিং এবং প্যাংগং এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য চিনা সেনার টিকে থাকা দুষ্কর হবে। তবে এখনকার এই উত্তেজনা শীত পর্যন্ত বজায় থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে।