স্কুল পরিদর্শনে দুর্গম বক্সা পাহাড়ে জেলা প্রাথমিকের চেয়ারম্যান গার্গী নার্জিনারি

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১০ ডিসেম্বর: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকার দুর্গম বক্সা পাহাড়ের কোলে থাকা ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের খোঁজ নিতে বক্সা পাহাড়ে গেলেন আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গার্গী নার্জিনারি।দুদিনের সফরের প্রথমদিনে বক্সা পাহাড়ের সদর বাজার পর্যন্ত পৌঁছে, ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্ট লাগোয়া বক্সা বিএফপি প্রাইমারি স্কুলের কচিকাঁচাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কোভিড প্রোটকল মেনে পাহাড়ের ঢালে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটান গার্গীদেবী। কথা বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গেও। ছাত্রদের হাতে কিছু বই, খাবার সঙ্গে মাস্ক তুলে দিয়েছেন। ছাত্রদের কি কি সমস্যা রয়েছে বিস্তারিতভাবে শুনেছেন। পাহাড়ের স্কুলগুলির শিক্ষকদের একাংশের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। আগামীকাল তাঁর লেপচাখা, চুনাভাটি যাবার কথা।

প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের একটি দলের বক্সা পাহাড়ের সবচেয়ে দুর্গম আদমা গ্রামেও যাবার কথা রয়েছে। গার্গী নার্জিনারি বলেন, “ফেব্রুয়ারী মাস থেকেই স্কুল খুলে যাবার কথা। তার আগে আমরা বক্সা পাহাড়ে এসেছি এখানকার স্কুলগুলির সম্পর্কে সবকিছু জেনে নিতে।”
উল্লেখ্য, সান্তলাবাড়ি থেকে বক্সা সদর বাজার, লেপচাখার রাস্তা প্রায় অর্ধেকটাই খাড়া পাহাড়ি রাস্তা। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনের তৎপরতা টানা চলছে পাহাড়ে।

আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা নিজে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বক্সা পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামগুলি পরিদর্শন করেছেন। কালচিনি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরাও ইতিমধ্যেই একদফা ঘুরে এসেছেন। এবার ডিপিএসসির চেয়ারম্যান নিজেও পৌঁছে গেলেন। আচমকাই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পরিদর্শনে গেলেন। বক্সার স্থানীয় বাসিন্দা তেন্ডু ডুখপা বলেন, খুবই ভাল লাগছে চেয়ারম্যান নিজেই এসেছেন। আমরা সবকিছু তাঁকে জানাতে পেরেছি।”

উল্লেখ্য, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকায় থাকা জয়েন্তীতে মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে গেলেও এদিন পর্যন্ত বক্সা পাহাড়ে মোবাইল পরিষেবা নেই। কোভিড পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা ইন্টারনেট না থাকায় সমস্যায় পড়ছে।বিষয়টি যেমন প্রশাসনের নজরে আনেন স্থানীয়রা তেমনি গার্গী নার্জিনারিকেও এদিন বিষয়টি জানানো হয়েছে। গার্গী নার্জিনারি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি আমরা।”

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here