কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৯ জুন:
বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। ঘাটাল শহরের কোন্নগরের বাসিন্দা, এই ক্ষুদে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে কামাল করে দিল। নাম আরাত্রিকা ঘোষ। মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৫০ টা বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দিতে রাইম অনায়াসে না দেখে বলতে পারে। শুধু তাই নয়, রাইমস গুলি বলার সাথে প্রয়োজনীয় মুখের ভাব প্রকাশ করতে পারে সে। এখানেই শেষ নয়, রবীন্দ্র সঙ্গীত, লোক সঙ্গীত, প্রার্থনা সঙ্গীত, আধুনিক গান সহ কুড়িটা গান গাইতে পারে আরাত্রিকা। আরাত্রিকার এই প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিল ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডস।
বিখ্যাত এই সংস্থাতে সব কিছু প্রমাণ সহ আবেদন করার পর ১৫ মে মেল মারফত ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসের তরফ থেকে আরাত্রিকার বাবা শুভঙ্কর ঘোষকে জানানো হয় যে, তার মেয়ের নাম ওই সংস্থার রেকর্ডে উঠেছে। ১৯ জুন শনিবার কুরিয়ার মারফত ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডস পুরস্কার পাঠিয়েছে। পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে সোনার মেডেল, ব্যাচ, সুদৃশ্য কলম, শংসাপত্র এবং ওই সংস্থার লোগো সহ কার স্টিকার। আরাত্রিকার বাবা শুভঙ্কর ঘোষ চন্দ্রকোনা জিরাট হাইস্কুলের শিক্ষক, মা তনুশ্রী ঘোষ গৃহবধূ।
শুভঙ্কর বাবু বলেন, মেয়ের বয়স যখন এক বছর, তখন তার প্রখর স্মৃতিশক্তি বুঝতে পারতেন তারা। দুই বছর বয়স থেকেই মঞ্চে আরাত্রিকা আবৃত্তি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করত। আরাত্রিকার মা তনুশ্রী ঘোষ বলেন, যে কোনও জিনিস শুনে তার মেয়ে বরাবরই মনে রাখতে পারে। মেয়ের উৎসাহদাতা বাবা, মা, দাদু, ঠাকুমা সহ পরিবারের সবাই। এছাড়া ঘাটালের কিটজি স্কুল যেখানে আরত্রিকা পড়াশোনা করে, সেই স্কুলের সহায়তা তো আছেই। তবে মূলত মায়ের কাছেই আরাত্রিকা সবকিছুর তালিম নেয়। আরাত্রিকার সাফল্যে তার পরিবারের সবাই খুব খুশি।
দীর্ঘ ১৫ মাস স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে পড়াশোনার পাশাপাশি, আরাত্রিকা গান আবৃত্তি সহ নিজের জগৎ নিয়ে থাকে। আরাত্রিকার বাবা জানান, তারা কোনও দিন মেয়েকে কোনও বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করেননি।