আমাদের ভারত,১৫ আগস্ট: মহিলাদের সার্বিক উত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে “নতুন ভারত”। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মহিলাদের তাৎপর্যময় অবদান আছে। অলিম্পিকে মহিলাদের প্রদর্শন তার টাটকা উদাহরণ। তাই মহিলাদের সর্বক্ষেত্রের কৃতিত্বকে সামনে রেখেই চিরাচরিত রীতি ভেঙে মহিলাদেরও সৈনিক স্কুলে প্রবেশের পথ প্রশস্থ করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, তার কাছে এই বিষয়ে অসংখ্য চিঠি পাঠিয়েছেন মহিলারা। তাই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সৈনিক স্কুলে মেয়েদের ভর্তির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আগামী শিক্ষাবর্ষ ২০২১-২২ থেকেই মেয়েরা সৈনিক স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং যথেষ্ট সংখ্যক মহিলা কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
বর্তমানে ভারতে মেঘালয়, সিকিম, তেলেঙ্গানা এবং ত্রিপুরা ছাড়া প্রতিটি রাজ্যে মোট ৩৩ টি সৈনিক স্কুল আছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সৈনিক স্কুল সোসাইটি এই স্কুলগুলি পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সরকারের সহযোগিতায়। তবে উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ের সৈনিক স্কুলটি রাজ্যের অধীনেই আছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে ১০০ টি সৈনিক স্কুল খোলার কথাও উল্লেখ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কাজেই এই উদ্যোগের সফলতা নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে এই উদ্যোগ এর আগেও গ্রহণ করেছে সরকার। মিজোরামের ছিংছিপ সৈনিক স্কুলে সরকারের পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে মেয়েদের ভর্তি করা হয়েছিল। সেই পথ অনুসরণ করে আরও অনেক রাজ্যই এই উদ্যোগ নেয়। সৈনিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের জাতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাডেমিতে ভর্তির জন্য কড়া অনুশাসনের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করা হয়।