“খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে মেয়েদের ভোট,” বইমেলায় স্বাতীর ‘মেয়েদের ভোট’

অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, কলকাতা, ৩০ জানুয়ারি: “খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে মেয়েদের ভোট, তা যতই স্পষ্ট হচ্ছে, সেইমত মেয়েদের টার্গেট করছে সরকারি প্রকল্প।” মন্তব্য স্বাতী ভট্টাচার্যের। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর বই ‘মেয়েদের ভোট’। বৃহস্পতিবার বইমেলার প্রেস কর্নারে এ বইটি উদ্বোধন করবেন সাহিত্য সমালোচক, তাত্ত্বিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের 
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক।

পড়াশোনার সূত্রে স্বাতী নানা সময়ে যুক্ত ছিলেন লেডি ব্রাবোর্ন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং ইউনিভার্সিটি, টাটা ইন্সটিট্যুট অফ সোস্যাল সায়েন্সেস, ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোস্যাল সায়েন্সেস প্রভৃতির সঙ্গে। ‘দি টেলিগ্রাফ’-এর প্রাক্তন সাংবাদিক স্বাতী আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন চিফ রিপোর্টার, বর্তমানে সিনিয়ার অ্যাসিস্টেন্ট এডিটর।

এই বই সম্পর্কে স্বাতী জানিয়েছেন, আমার নতুন গানের জন্মতিথি এল, বাঁশি বাজো, বীণা বাজো। নতুন বইয়ের কি এমন সুন্দর অভ্যর্থনা হয়? হলে তা হয় এক বিরল সৌভাগ্যের দিন! এর নিবন্ধগুলো গত চার-পাঁচ বছরের লেখা। আবার এক অর্থে এর লেখাগুলো আমার সারা জীবনের লেখাও বটে, কারণ সাংবাদিকতার আড়াই দশক কেটেছে সেই মেয়েদের কথা শুনে, যাদের কথায় কেউ কান দেয় না। কেবল তাদের তুচ্ছ মনে করা হয় বলে নয়, খেটে-খাওয়া মেয়েদের কথা শুনলে, লিখলে, বিপদ আছে। ভোট থেকে প্রেম থেকে কর্মক্ষেত্র, সর্বত্র মেয়েরা মুখ খুললেই ধসে পড়তে চায় ক্ষমতার পচাগলা ধাঁচা। নেতারা এড়িয়ে যান। অনেক প্রকাশকও তা-না-না করে পিছিয়ে যান, দেখেছি।“

বইটির বিষয় বলতে গিয়ে স্বাতী লিখেছেন, “সারা দেশে খোঁজ কিসে খুশি হয় মেয়েরা। গ্রাম শহরে সেই অনুসন্ধানের ফসল এই প্রকল্পগুলি। যে মেয়েরা বাগদার মীন ধরে কাজ করে চটকলে, ইটভাঁটায়, স্কুল-কলেজে পড়ে, কাজ করে সংবাদপত্রের দফতরে, তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা যতটা ব্যক্তিগত, ততটাই রাজনৈতিক। প্রেম থেকে মজুরি, সর্বত্র মেয়েদের দাবি কেমন করে পালটে দিতে চায় ক্ষমতার নকশা, এই সংকলনে মিলবে কিছু সুর।“

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here