আমাদের ভারত, ১০ অক্টোবর:নির্ভয়া, কামদুনি, কাঠুয়া,হায়দ্রাবাদ,কিংবা হাথরাস। একের পর এক পৈশাচিক নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়েছে দেশ। তাই এবার নারী নির্যাতনে রাশ টানতে আরও কঠোর হল কেন্দ্র। প্রত্যেকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
যৌন হেনস্থা কিংবা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষিতার মৃত্যুর আগের বয়ানকে প্রমান বলেই ধরতে হবে।
নয়া নির্দেশিকাই বলা হয়েছে প্রথমেই পুলিশকে এফআইআর নিতে হবে। এছাড়াও ধর্ষণের ক্ষেত্রে খুব বেশি হলে দু মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। দুষ্কৃতীদের ধরতে যেকোনো ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তাতে দরকার হলে জাতীয় ডাটাবেস ব্যবহার করতে পারেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে যৌথ হেনস্থার অভিযোগও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। এক্ষেত্রেও এফ আই আর করতেই হবে। সে ক্ষেত্রে কোন থানার অন্তর্গত এলাকায় যৌন হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার কোনো প্রয়োজন নেই। যে কোনো থানাতেই এফআইআর করা যেতে পারে।
এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে অনেক সময় পুলিশের বিরুদ্ধে গরিমশির অভিযোগ ওঠে। তেমন অভিযোগ সামনে এলে পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীর।
এছাড়াও যে মহিলার ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থা হবে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো সরকারি চিকিৎসকের মাধ্যমে তার শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। ধর্ষণের পর নির্যাতিতার মৃত্যুর আগে যদি কোনো বয়ান দিয়ে যান তবে সেটিকে প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দিতে হবে। এছাড়াও কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে দেওয়া সেক্সুয়াল অ্যাসাল্ট এভিডেন্স কালেকশন কিট ফরেনসিক টিমকে ব্যবহার করতে হবে। এই নির্দেশিকা অমান্য করা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রর তরফে।