আমাদের ভারত, ২০জুন: লাদাখের ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তার ভুল অর্থ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা চলছে। সরকারের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে,” সকলকে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে ১৫ জুন চিন সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। চিনা সেনা সীমান্তের কাছে একটি কাঠামো তৈরি করেছিল। বারণ করা সত্ত্বেও তারা তা শোনেনি।”
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করে বলতে শুরু করে, গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে মোদী সরকার সবটা জানাচ্ছে না। ২০ জন জওয়ান সেখানে কিভাবে মারা গেছে? এখন সেখানকার কি পরিস্থিতি তাও প্রধানমন্ত্রী জানাচ্ছেন না।
আজ প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোদী জানিয়েছেন, “ভারতের কোন এলাকায় বিদেশী নেই। ভারতের কোন ছাউনিও কেউ দখল করে নেয়নি। আমাদের সেনাবাহিনীর বীরত্বের জন্যই, আমাদের এলাকায় কেউ ঢুকতে পারেনি।”
সরকারি তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ,”১৬ বিহার রেজিমেন্টের সেনাদের আত্মবলিদানের ফলেই চিনা সেনা সীমান্তে কোন কাঠামো তৈরি করতে পারেনি। সীমান্ত পেরিয়ে তাদের আমাদের দেশে ঢুকে পড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।”
এদিন রাহুল গান্ধী টুইটারে, লেখেন, “চিনা হানাদের কাছে আমাদের দেশের জমি সমপর্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।” তিনি মোদীর কাছে দুটি প্রশ্ন তোলেন “আমাদের সৈনিকরা মারা গেল কেন? কোথায় তারা মারা গিয়েছে?”
গালওয়ান সংঘর্ষের পর দিন বিদেশমন্ত্রক থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, চিনারা একতরফা সীমান্তে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল । আর সেইজন্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিরোধীরা জানতে চেয়েছে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অর্থ কি? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়নি। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম প্রশ্ন তোলেন, “চিনারা যদি সীমান্ত পেরিয়ে আমাদের দেশে নাই ডুকে থাকে তাহলে বিদেশ মন্ত্রী জয় শংকর সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার কথা কেন বলেছেন?” সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কোনটা ভারতের অঞ্চলকে মানচিত্রে স্পষ্ট দেখানো আছে। আমরা সেই জমি রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেখানে কিছু বেআইনি দখলদারি হয়েছিল। সর্বদলীয় বৈঠকে জানানো হয়েছে কেউ যদি সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদলাতে চায় তা সহ্য করা হবে না”।