সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ২০ এপ্রিলের পর যে কাজ গুলি করা যাবে, তার তালিকা

আমাদের ভারত, ১৫ এপ্রিল: ২০ এপ্রিলের পর কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে যেখানে লকডাউন খানিকটা শিথিল করবে সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দেওয়া নির্দিষ্ট নির্দেশিকা মানতে ই। কি হবে সেই নির্দেশিকা তা আজ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মূলত কৃষক, দিনমজুরদের কথাই মাথায় রেখেই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে কাজের জন্য খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। ২০ এপ্রিল পর যেসব কাজ কর্মের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার অন্যতম লক্ষ্য কৃষি ও কৃষি জাতীয় কাজ যাতে পুরোদমে চলে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক যেনো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। দিনমজুর এবং অন্যান্য শ্রমিকদের আয়ের সুযোগ হয়। নির্বাচিত শিল্পক্ষেত্রেও কাজ শুরু হবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, বাধ্যতামূলক ভাবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল বজায় রেখেই। ডিজিটাল ইকোনমিক কাজের নিশ্চয়তার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

যে সমস্ত অনুমতিগুলো দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় তা হল,

সবরকম পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেয়া হয়েছে সেটা অত্যাবশ্যকীয় হোক বা না হোক। কৃষি কাজের মধ্যে কৃষিজাত পণ্য আনা- নেওয়া, তা বাজারজাত করা, সার উৎপাদন- বন্টন, কীটনাশক এবং বীজ, মৎস্য চাষ, পশুপালন, পোল্ট্রি, চা-কফি, রবার প্ল্যান্টেশনের কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে কিছু শিল্পকর্ম গ্রামে চলবে। যেমন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, রাস্তা নির্মাণ, সেচ প্রকল্প, গ্রামের শিল্প প্রকল্পের নির্মাণ কাজ,এম এন আর ই জিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সেচ ও জল সংরক্ষণে। গ্রামের কমন সার্ভিস সেন্টারের কাজ ইত্যাদিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে পরিযায়ী শ্রমিক সহ গ্রামীণ শ্রমিকরা কাজের সুযোগ পাবেন।

উৎপাদন ক্ষেত্র ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে যাদের অ্যাক্সেস কন্ট্রোল অনুমতি দেওয়া আছে এস ই জেড, এ ও ইউ শিল্পতালুক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ সামাজিক দূরত্ব এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল বজায় রেখে তা করতে হবে। আইটি হার্ডওয়ার উৎপাদন এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং প্যাকেজিং কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কয়লা খনিজ তেল উৎপাদনের কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্র ঘুরে দাঁড়াবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তবে সব ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব এবং নিরাপত্তা প্রটোকল বজায় রাখতে হবে।

আর্থিক ক্ষেত্রে যেমন আর বি আই ব্যাংক এটিএম সেবির নির্দেশমতো মূলধন ঋণের বাজার এবং বীমা কোম্পানি গুলি কাজ করবে যাতে পর্যাপ্ত নগদ ঋণ সহায়তা দেওয়া যায় শিল্প গুলিকে।ডিজিটাল অর্থনীতি পরিষেবা ক্ষেত্রের জন্য জাতীয় বৃদ্ধির খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে অনুসারেই কমন অপারেশন আইটি এবং আইটি এনাবল সার্ভিস সরকারি কাজের জন্য ডাটা এবং কল সেন্টার অনলাইন শিক্ষকতা দূর শিক্ষা সংক্রান্ত কাজকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এই গাইডলাইনে অনুমতি রয়েছে সকল স্বাস্থ্যপরিসেবা ও সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ চলবে। পাবলিক ইউটিলিটি কাজ হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহন হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের স্থানীয় প্রশাসনের অফিস খোলা থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *