ভুট্টার নূন্যতম সমর্থন মূল্যের দাবিতে গোয়ালপোখর বিডিও অফিস অভিযান জয় কিষাণ আন্দোলনের চাষিদের

আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১২ মে: জয় কিষাণ আন্দোলনের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শম্ভু লাল রায়ের নেতৃত্বে স্থানীয় ভুট্টা চাষিরা গোয়ালপোখর-১ বিডিও অফিস অভিযান করেন। বিডিও-র সঙ্গে দেখা করে তাঁরা দাবিপত্র পেশ করেন। বিডিওকে জানানো হয় যে রাজ্য সরকারের ও সমষ্টি দপ্তরের সমর্থনের অভাবে গোয়ালপখোর-১ সমষ্টির চাষিরা নূন্যতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) থেকে অনেক কম দামে ভুট্টার বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
দাবি জানানো হয়, অবিলম্বে-

(১) সমষ্টির সমস্ত ভুট্টা উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোতে সুবিধাজনক জায়গায় সরাসরি চাষিদের থেকে ভুট্টা কেনার জন্য পর্যাপ্ত সরকারি ক্রয় কেন্দ্র খোলার ব্যবস্থা করতে হবে,
(২) ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত কর্মী এবং অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কোনো রকম আমলাতান্ত্রিক বাধা ছাড়া নির্বিঘ্নে সব চাষিদের থেকে পুরো ভুট্টা ফসল এমএসপি দামে কেনা যায়,
(৩) পঞ্চায়েত স্তরে এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে এমএসপি’র থেকে কম দামে ভুট্টা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হওয়া চাষিরা ক্ষতিপূরণের দাবি দাখিল করতে পারে,
(৪) ইতিমধ্যে যে সমস্ত চাষি এমএসপি’র থেকে কম দামে ভুট্টা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়ে লোকসান করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অবিলম্বে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে,
(৫) সমষ্টির সব ভুট্টা উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোতে ভুট্টা বিক্রি করার জন্য নিয়ন্ত্রিত কৃষি বাজারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে,
(৬) নিয়মিত নিরীক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ঐ নিয়ন্ত্রিত কৃষি বাজারগুলোতে নূন্যতম এমএসপি দামে লেনদেনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে,
(৭) ভুট্টার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি কার্যকরী মূল্য সহায়তা প্রকল্প ঘোষণা ও রুপায়ন করতে হবে,
(৮) ভুট্টার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি কার্যকরী মূল্য ঘাটতিপূরণ প্রকল্প ঘোষণা ও রুপায়ণ করতে হবে।

জয় কিষাণ আন্দোলনের জেলা সভাপতি বলেন, “ভুট্টা কাটা ও বিক্রির সময়ে ভুট্টা চাষিরা দেখতে পাচ্ছে তাদের ক্ষেতের কাছাকাছি কোনও নিয়ন্ত্রিত কৃষি বাজার নেই যেখানে তারা তাদের ভুট্টা সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত এমএসপি’তে লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে পারে। নিয়ন্ত্রিত কৃষি বাজার না থাকার ফলে লাইসেন্সহীন বেসরকারি ব্যবসায়ীরা ভুট্টার ফসল কিনতে গ্রামে নামছে এবং চাষিরা এই ব্যবসায়ীদের খুব কম দামে (সাধারণ ভাবে কুইন্টাল প্রতি ১০০০ টাকা) ভুট্টা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমনিতেই তাদের খারাপ আর্থিক অবস্থা, তা আর দুর্বল হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *