
আমাদের ভারত, ৭ অক্টোবর:উত্তরপ্রদেশের হাথরসের দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আর তার সাথে সাথেই উঠে আসছে তার মৃত্যুর পেছনে থাকা কারণ নিয়ে একাধিক দাবি। নির্যাতিতার গ্রাম প্রধানের দাবি পরিবারের লোকজনের হাতে মারধর খেয়েই মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতা।
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের পুলিশ দাবি করেছে হাথরসের নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তের অন্তত ১০৪ বার ফোনে কথা হয়েছে। এবার নির্যাতিতার গ্রাম প্রধানের দাবি, নির্যাতিতার সঙ্গে মূল অভিযুক্ত বেশকিছুদিন ধরেই একটি সম্পর্ক ছিল। আর তাতেই প্রবল আপত্তি ছিল নির্যাতিতার পরিবারের।
নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছে রাস্তায় যাতায়াতের পথে তার মেয়েকে উত্যক্ত করত অভিযুক্তরা।
কিন্তু গ্রামপ্রধানের দাবি, কথা বলার জন্য নির্যাতিতাকে মোবাইল ফোন দিয়েছিল অভিযুক্তরাই। ঘটনার দিন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল ওই অভিযুক্ত।সেটা দেখে ফেলার কারণেই নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন রেগে গিয়ে তাদের মেয়েকে ব্যপক মারধর করে। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতার।
সংবাদমাধ্যমকে গ্রাম প্রধান জানিয়েছেন,যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের যেন ফাঁসি দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। সবার নারকো টেস্টের দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তার বক্তব্য অন্য কারোর অপরাধের বোঝা যেনো অভিযুক্তদের ঘাড়ে না চাপানো হয়।
অন্য দিকে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য দাবি করেছেন মূল অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারেরও যোগাযোগ ছিল। নির্যাতিতার ভাইয়ের সঙ্গে কথাও বলতো অভিযুক্ত।