আমাদের ভারত, হলদিয়া, ১২ ডিসেম্বর: হলদিয়ার দূর্গাচকে বঙ্গধ্বনি মিছিলের শেষে সভায় বক্তব্য রাখতে গেলে হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদককে হেনস্থা করেন তৃণমূলের কর্মীরা। সভায় বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের সামনে থেকে কর্মী তৃণমূলের কর্মীরা কটুক্তি ও চিৎকার করতে থাকায় বাধ্য হয়ে বক্তৃতা বন্ধ রেখে নেমে যান শ্যামল আদক।
গতকাল হলদিয়ায় তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি মিছিল ছিল। এই মিছিল সুতাহাটার সুবর্ণজয়ন্তী ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে দুর্গাচকের মঞ্জুশ্রী মোড়ে শেষ হয়। মিছিলে হলদিয়ার তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক যোগ দেন। মিছিলেও তাকে কিছুটা হেনস্থা করার চেষ্টা করে তৃণমূল কর্মীরা।
শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে হলদিয়ায় পরিচিত তৃণমূল পরিচালিত হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক।
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে কলকাতায় ফিরহাদ হাকিম হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের নিয়ে মিটিংয়ে বসেন। সূত্রের খবর সেখানে ফিরহাদ হাকিম হলদিয়ার পৌর পরিসেবা নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে।
শুভেন্দু অধিকারী কে ঘিরে হলদিয়ায় তৃণমূল এখন প্রায় দ্বিধা-বিভক্ত। ব্যানার পোস্টার থেকে শুরু করে সভা পাল্টা সভা, মিছিল পাল্টা মিছিল থেকে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। শুভেন্দু অধিকারী কে ছাড়া হলদিয়া শুভেন্দু অনুগামীদের কয়েকটি মিছিলে সামনে না এলেও পেছন থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শ্যামল আদক বক্তব্য বিরোধীদের।
দলের নির্দেশে অন্যান্য জায়গার মতো গতকালও হলদিয়া বঙ্গধ্বনি মিছিল এবং শেষে সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেই সভায় শ্যামল আদক বক্তব্য রাখতে উঠলে তৃণমূল কর্মীরা মঞ্চের সামনে থেকে চিৎকার শুরু করে এবং কটূক্তি করতে থাকে। বাধ্যহয়ে বক্তৃতা বন্ধ করে দেন শ্যামল আদক। এই ঘটনার জেরে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সঙ্গে তৃণমূল দলের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটা আরো পরিস্কার হয়ে গেল।