আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৯ সেপ্টেম্বর: করোনায় আক্রান্তের খবর শোনার পর সোমবার গভীর রাতে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল তার বাড়ির সামনের গাছের থেকে। মৃতের পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের ধারণা, করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদহ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কেবিএম এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ বিশ্বাস (৬২)। তার বাড়ি ওই এলাকাতেই। পেশায় তিনি ছিলেন একজন মাছ ব্যবসায়ী। সাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে তিনি মাছ বিক্রি করতেন। কয়েকদিন ধরে জ্বর সর্দি কাশিতে তিনি ভুগছিলেন। সোমবার ছেলের সঙ্গে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে নিজের করোনা টেস্ট করান। সন্ধ্যে নাগাদ গিয়ে দিলীপ বিশ্বাসের ছেলে টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে আসলে দেখা যায়, রিপোর্ট পজেটিভ।
পরিবারের লোকজনের বক্তব্য,’এরপর থেকেই তিনি চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। বারবারই বলতে থাকেন, তোমাদের কী হবে। আমি বোধ হয় আর বাঁচবো না। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ তিনি হঠাৎই বাড়ির কাউকে কিছু না বলে খালি পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। বাড়ির লোকজন দিলীপ বিশ্বাসের খোঁজ করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির সামনে আম গাছের সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
যদিও মৃতের বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা ওই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাদের অভিযোগ,
‘মঙ্গলবার সকাল হয়ে যাওয়ার পর বার বার তারা চাকদহ থানার পুলিশকে ফোন করে জানান, মৃতদেহ নিয়ে যেতে। অথচ পুলিশ কিছুতেই মৃতদেহ সঠিক সময় নিতে আসেনি। ফলে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়া স্বাভাবিক।’ যদিও মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ চাকদহ থানার পুলিশের উদ্যোগে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কল্যানীর পুলিশ মর্গে। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকজনকে চিহ্নিত করে তাদের করোনা টেস্ট করানো হবে। আপাতত তারা থাকবেন হোম কোয়ারেন্টাইনে।