অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে হিন্দুদের, হরিদ্বারে ধর্ম সংসদে মন্তব্য বক্তাদের, বিতর্ক তুঙ্গে

আমাদের ভারত, ২৪ ডিসেম্বর: নিজেদের ধর্ম রক্ষা করতে
মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়কে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ধর্ম সংসদের রুদ্ধদ্বার সমাবেশের বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশের পর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও ক্লিপ। তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে বিতর্কিত ধর্মীয় সংসদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ করেছেন।

গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পূণ্যভূমি হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত হয় এই রুদ্ধদ্বার ধর্মীয় সংসদ। ধর্মগুরু জ্যোতি নরসিংহানন্দ এই সংসদের মূল আয়োজক। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু রক্ষা সেনার প্রধান প্রবোধানন্দ গিরি। বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী উদিতা ত্যাগী। বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে প্রবোধানন্দ গিরি বলেছেন, “মায়ানমারের মত আমাদের পুলিশ, সেনা, রাজনীতিবিদ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। এবার সাফাই অভিযান চালাতে হবে।”

অন্য আরেকটি ভিডিও ক্লিপে পূজা পান্ডে নামে এক বক্তাকে বলতে শোনা গেছে, “যদি ওদের সমূলে ধ্বংস করতে চান তাহলে ওদের হত্যা করুন। আমরা এমন ১০০ জন যোদ্ধাকে চাই যারা ওদের দু’লাখ লোককে হত্যা করবে।

আরও একটি ক্লিপে স্বামী ধরমদাস মহারাজ বলেন, “যদি আমি সেদিন সংসদে উপস্থিত থাকতাম যেদিন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, জাতীয় সম্পদের উপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার। আমি নাথুরাম গডসকে অনুসরণ করতাম।”

এই গোটা বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দিল্লি বিজেপি প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন, “তিন দিনের অনুষ্ঠানে আমি মাত্র একদিন ছিলাম। ৩০মিনিটের জন্য মঞ্চে উঠে ছিলাম এবং দেশের সংবিধান নিয়েই শুধু কথা বলেছি। আমার আগে কিংবা পরে কে কী বলেছেন তার জন্য আমি দায়ী নই।”

বিতর্কিত এই মন্তব্যগুলো নিয়ে বলা হলে ধর্ম সংসদের আয়োজক নরসিংহানন্দ জানিয়েছেন, “আমাদের আশপাশের পরিবেশ দেখলেই বুঝবেন কিভাবে হিন্দু কমছে আর মুসলিমের জনসংখ্যা বাড়ছে। গত দু’দশক ধরে আমি সেই কথা বোঝানোর চেষ্টা করছি।”

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here