সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৪ অগাষ্ট: ইংরেজদের অত্যাচার দেখেছেন, দেখেছেন স্বাধীনতার প্রথম দিনের ছবি। আজও সেই সব স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন রঘুনাথপুরের হরিমতী ব্যানার্জি। আর দু মাস পরেই ১০০ বছরে পা দেবেন তিনি। ইংরেজদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে নিজেও জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন। ইংরেজদের বুটের শব্দ পেলেই পালিয়ে বেড়াতেন এদিক ওদিক।
পুরুলিয়ার পাড়া বিধানসভার অন্তর্গত রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মঙ্গলদা মৌতড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ধানাড়া গ্রামের বাসিন্দা হরিমতী। দু মাস পরেই বয়সের সেঞ্চুরি করবেন তিনি। এখনও একান্নবর্তী পরিপারের সঙ্গে থাকেন বৃদ্ধা হরিমতী। এই বয়সেও খালি চোখেই সব দেখতে পান তিনি। চশমা কী জিনিস তা পরখ করতে চান না।
দেশ স্বাধীন হওয়ার খবর আসতেই তিনিও আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিলেন সেই সময়ে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতা উদযাপনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি নিজেও। সরকারি খাতায় সংগ্রামী হিসেবে লেখা না থাকলেও গৃহস্থের মধ্যে থেকেও ইংরেজদের নির্যাতন, পরাধীনতার প্রভাব পড়েছিল বৈকি। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ দেশ জুড়ে উৎসবের চেহারা নিয়েছে। সেই আঙ্গিকে স্বাধীনতার প্রথম স্বাদ পাওয়া ও উপভোগ করার অন্যতম মহিলা অন্তরালে রয়েছেন।