আমাদের ভারত, ২১ নভেম্বর:
১৯ নভেম্বর শনিবার থেকে হরিয়ানার ধর্মনগরী হিসেবে খ্যাত কুরুক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব শুরু হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মহোৎসব চলবে। এই গীতা মহোৎসবকে সামনে রেখে হিন্দু রাষ্ট্রের ভিত্তি নিয়ে আলোচনার রাস্তা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আগামী ৩০ নভেম্বর কুরুক্ষেত্রের জাতীয় হিন্দু রাষ্ট্র অধিবেশন হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই পুরীর শংকরাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর ছবি দিয়ে দেশের সর্বত্র প্রচার শুরু হয়েছে। জাতীয় হিন্দু রাষ্ট্র অধিবেশন অধিবেশনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিন্দু সংগঠনের প্রতিনিধিরা হাজির থাকবেন। উপস্থিত থাকার কথা বিজেপি প্রথম সারির বেশ কিছু নেতার। সম্মেলনের মূল বক্তা পুরীর শংকরাচার্য, যিনি এর আগে বেশ কয়েকবার ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষনার দাবি জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে কুরুক্ষেত্রের গীতা মহোৎসবে হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য প্রচারের রূপরেখা তৈরি হবে।
প্রসঙ্গত, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংঘ পরিবারের দীর্ঘদিনের একাধিক দাবি একের পর এক পূরণ হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম রাম মন্দির নির্মাণ, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি, তিন তালাক রদের মতো ইস্যু ছিল। তবে এখনো একাধিক বিষয় বাকি, যেমন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন ইত্যাদি। যদিও এগুলো সংসদে বিল এনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করতে গেলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। তা ছাড়া একাধিক সামাজিক বিষয়ও জড়িত রয়েছে। তাই কোনো রকম তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থির ভাবে এগোতে চাইছে বিজেপি, বলে মনে করা হচ্ছে। হিন্দু রাষ্ট্রের দাবির ইস্যুতে জনগণের মধ্যে প্রচার করে একটা বড় জনমত গঠন করতে চাইছে বিজেপি। আর সেক্ষেত্রে গীতা মহোৎসব তাদের অন্যতম প্রচারের ক্ষেত্র হতে চলেছে।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এই গীতা মহোৎসব ঘিরে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন। কুরুক্ষেত্রে আসার জন্য রাজ্য সরকারের বাসের ভাড়া ৫০ শতাংশ কম করা হয়েছে। ২৯ শে নভেম্বর গীতা মহোৎসবের যোগ দেওয়ার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু’র।