আমাদের ভারত,১৮ অক্টোবর: গত কয়েকদিন ধরেই তদন্তের স্বার্থে হাতরাসের ওই গ্রামে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই এর গোটা একটি টিম গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নির্যাতিতার বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনি ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর ছবি দেখানো হলে তাকে নির্যাতিতার পরিবার চিনতে পারেনি বলে জানা গেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই নির্যাতিতার মা, ভাই, বৌদি, বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। নির্যাতিতার বেশ কিছু জামাকাপড়ও আধিকারিকরা নিজেদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নির্যাতিতার পরিবার। তারা ওই গ্রাম ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে সরকারের কাছে তারা আবেদন করেছেন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে দিল্লি বা অন্য কোনও শহরে যেন তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। অন্তত মামলার রায় বেরোনো পর্যন্ত তাদের যেন গ্রামে থাকতে না হয়। তাদের অভিযোগ, দলিত পরিবারের ওপর সমাজের তথাকথিত উঁচু জাতের লোকজন চাপ সৃষ্টি করছেন। হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের।
এদিন সিবিআই আধিকারিকরা ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছোটু নাম এক যুবকের একটি ছবি নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনকে দেখান। মোবাইলে সেই ছবি দেখে যুবককে চিনতে পারেননি নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার বৌদি জানান, ওই যুবককে তারা প্রথমবার দেখেছেন। এদিন নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। জানতে চাওয়া হয় তাদের পরিবারের মোট কটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হতো। নির্যাতিতার বৌদি জানিয়েছেন, তাদের বাড়িতে মাত্র একটি মোবাইল ফোন রয়েছে। আর সেই মোবাইল থেকে নির্যাতিতা কখনো অভিযুক্তদের কারোর সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।