আমাদের ভারত, ৯ অক্টোবর: হাথরাস গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চারজন আপাতত জেলে বন্দি। সেখান থেকেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে এসপিকে চিঠি লিখলেন এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সন্দীপ। ওই চিঠিতে বাকি তিন অভিযুক্ত রামু, রবি, লব কুশের স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ রয়েছে।
অভিযুক্তরা যে জেলে বন্দি রয়েছেন সেই জেলের জেলার অলোক সিং জানিয়েছেন, নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে চিঠি লিখেছেন চারজন। ঘটনার দিন কি ঘটেছিল তার বিবরণ দিয়েছেন তারা ওই চিঠিতে। সন্দীপের লেখা ওই চিঠিতে চারজন দাবি করেছে, নির্যাতিতার পরিবার তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তাদের দাবি, এই মামলায় আসল অভিযুক্ত নির্যাতিতার মা ও ভাই। তাদের মারের চোটেই সেদিন নির্যাতিতা প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে ওই চার যুবক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বিজেপি প্রাক্তন বিধায়ক রাজবীর সিং পেহেলওয়ান দাবি করেছিলেন ৪ যুবককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। নির্যাতিতার পরিবার হাথরাসের সংসদ রাজবীর সিং দিলের এবং তার মেয়ে মঞ্জু গ্রামের ৪ যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। তিনিও নির্যাতিতার মৃত্যুর জন্য তার মাকে দায়ী করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, দলিত এই মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যরা মেরে ফেলেছে। এই চিঠিতেও চার অভিযুক্তের বয়ান মোটামুটি এক। যদিও আগেই অভিযুক্তরা দাবি করেছেন, মেয়েটির সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব ছিল, এমনকি চার জনের সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা হত। তাতে মেয়েটির বাড়ির লোকের আপত্তি ছিল। বহুবার এই চারজনের সঙ্গে কথা বলার জন্য মেয়েটিকে তার মা ও ভাই প্রকাশ্যে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।
এসপিকে লেখা চিঠিতে চারজন দাবি করেছেন, আসল ঘটনা থেকে পুলিশ প্রশাসনের নজর ফিরিয়ে দিতে তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার দিন মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ক্ষেতের দিকে গিয়েছিলেন। তবে সেদিন নির্যাতিতার মা ও ভাই তাকে ক্ষেতে যাওয়ার আগে আটকান। অকারণে ঝামেলা না বাড়িয়ে সে বাড়ি ফিরে আসে। এরপরই তিনি নাকি জানতে পারেন মেয়েটির মৃতদেহ থেকে উদ্ধার হয়েছে। সন্দীপের দাবি গ্রামের চার যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলা ও বন্ধুত্ব রাখার বিষয়টি ওই মেয়েটির পরিবার মেনে নিতে পারত না। তাই মাঝেমধ্যেই মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালাতো তারা। ইতিমধ্যেই এসপির টেবিলে সেই চিঠি পৌঁছেছে। তদন্তভার যদিও এখন সিবিআই-এর উপর। ফলে এই চিঠির প্রভাব তদন্তে পড়বে কিনা তা নিয়ে কিছু বলতে চায়নি পুলিশ প্রশাসন।