রাতে অতিথি আপ্যায়নে নিজের স্ত্রীকে পাঠায় হিম্বারা

আমাদের ভারত, ২০ নভেম্বর: বাড়িতে অতিথি এলে নিয়ম মাফিক সবাই সাধ্যমতো আপ্যায়ন করে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন দুই উপজাতি আছে যারা অতিথি আপ্যায়নে আরও বেশি কিছু করে। তারা নিজের স্ত্রীকে অতিথির কাছে পাঠায় তার ভোগের জন্য। বাড়িও বৌও তা মেনে নিয়ে অতিথিকে সন্তুষ্ট করেন। ওই উপজাতিরা মনে করে এতে হিংসা কমে এবং সম্পর্ক ভালো হয়।       

উত্তর নামিবিয়ার কুনেন ও ওমুস্যাটি অঞ্চলে দুই উপজাতির বাস। ওভাহিম্বা ও ওভাজিম্বা নামের দুই আধা-যাযাবর উপজাতির মানুষ বসবাস করেন। এই দুই সম্প্রদায়ের মহিলাদের গরুর দুধ সংগ্রহের কাজে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে। আর  পুরুষরা শিকারের পাশাপাশি বাচ্চাদের দেখাশোনা করে। শিকার করতে পুরুষরা কখনও কখনও পরিবার ছেড়ে দীর্ঘ সময় ধরে দূরের জঙ্গলেও কাটান। ৫০,০০০ এর বেশি জনসংখ্যার হিম্বা সমাজে বহুবিবাহ প্রথা আছে। একটু বয়স হলেই হিম্বা সমাজের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের গুরুত্ব বা মতামতের তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। হিম্বা মহিলারা স্বামীর দাবিকেই মেনে নেন।  

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান, তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে , ” হিম্বা  সমাজে কোনও বাড়িতে  অতিথি এলে হিম্বাদের রীতি মেনে ওকুজেপিসা ওমুকাজেন্দু ব্যবস্থায় অথিতিকে আপ্যায়ন করা হয়, অর্থাৎ অতিথির কাছে নিজের স্ত্রীকে পাঠিয়ে রাত কাটাতে দেওয়া হয়। এসময় স্বামী অন্য ঘরে ঘুমায়। যদি ঘর না থাকে কিংবা জায়গা না থাকে তা হলে স্বামী বাইরে ঘুমোয়। হিম্বারা মনে করে,  স্ত্রীকে দিয়ে এই আপ্যায়ন করলে হিংসা কমে এবং সম্পর্ক মজবুত হয়। 

হিম্বাদের অবাক করা বিষয় হল মেয়েদের স্নান নিষিদ্ধ।  স্নান না করা হিম্বা মহিলাদের নিয়ম। মহিলারা জল দিয়ে স্নান করার পরিবর্তে ধোঁয়া দিয়ে স্নান করে। এজন্য তাদের ত্বকে সুগন্ধযুক্ত লাল রঙের রেজন লাগান। তাদের বিশ্বাস লাল রঙ এমন জিনিস যা তাদের অনন্য করে তোলে। লাল রঙ তাদের ত্বককে মরুভূমির চড়া রোদ এবং পোকার কামড় থেকেও রক্ষা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *