
আমাদের ভারত,২৮ জানুয়ারি: পাকিস্তানের সংখ্যালঘু মেয়েদের অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা প্রায় নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে গেছে। একের পর এক হিন্দু তরুণীকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে মুসলমান পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবারও সেই একই ঘটনা ঘটল পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে। বছর ২৪ এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। জানা গেছে ওই তরুণীকে দিনে দুপুরে একেবারে বিয়ের মণ্ডপ থেকে গায়ের জোরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তরুণীর নাম ভারতী বাঈ। তরুনীর বাবা কিশোর দাসের অভিযোগ মেয়ের বিয়ে স্থানীয় হালা শহরের এক হিন্দু যুবকের সঙ্গে ঠিক হয়েছিল। বিয়ে যখন প্রায় মাঝ পথে তখন ভয় দেখিয়ে জোর করে বিয়ের আসরে ঢুকে মণ্ডপ থেকে ভারতেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই অপহরণের ঘটনায় পুলিশ অপহরণকারীদের সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ।
এরপর মেয়েটিকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করা হয় এবং শাহরুখ গুল নামে এক মুসলিমে সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, যারা ওই তরুণীকে বিয়ের মন্ডপ থেকে অপহরণ করেছিল তাদের মধ্যে শাহরুখ গুল ছিল অন্যতম।
করাচির জামিয়াত উলেমা ইসলামিয়া ওই তরুণী ধর্ম পরিবর্তনের সার্টিফিকেট দিয়েছে। সেখানে তার নতুন নাম বুশরা। সার্টিফিকেটে ভারতীর স্থায়ী ঠিকানা করাচি গুলশান ইকবাল এলাকা।
পাকিস্তানের সংখ্যালঘু তরুণীদের অপহরণ করে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে দেওয়া অথবা ধর্ষণ কিংবা হত্যা প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর ফলে সে দেশের সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। আতঙ্কে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে সে দেশের সংখ্যালঘুরা।