আমাদের ভারত, ৩ অক্টোবর:একদিকে যখন ভারতবর্ষ উত্তাল হয়েছে দলিত তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায়। ঠিক তখনই পাকিস্থানে ধর্ষকদের হুমকির জেরে কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ১৭ বছরের এক হিন্দু কিশোরী। এই ঘটনায় আবারোও একবার পাকিস্তানের সংখ্যালঘু মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এলো।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের থারপারকার জেলার একটি গ্রামে। জানা গিয়েছে গত বছর জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় ওই কিশোরীকে অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তিন ব্যক্তি। পরে ওই মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করে মামলা শুরু করে পুলিশ। কিন্তু কয়েক দিন পরই তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের সাহায্যে জেল থেকে বেরিয়ে চলে আসে অভিযুক্তরা।
এরপর কিছুদিন আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় মামলাটি এগোয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছিল ওই নির্যাতিতা ও তার পরিবার। সম্প্রতি অভিযুক্তরা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে তাকে। হুমকি দেয় কিশোরীকে ধর্ষণের সময় তোলা ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করে দেবে তারা। আর এর ফলেই বাধ্য হয়ে বুধবার গ্রামের এক গভীর কুয়োতে ঝাঁপ দেয় ওই কিশোরী। স্থানীয় এক বাসিন্দা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে কিশোরীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বর্তমানে আবার ৩ অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে ওই কিশোরীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।