ফের বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ও প্রতিমা ভাঙ্গচুরের ঘটনা, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সমস্যা শুরু

আমাদের ভারত, ৮ আগস্ট: ফের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙ্গার অভিযোগ উঠল। জানা যাচ্ছে, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে একটি অশান্তি ছড়ায়। আর তারপরই সেই ঘটনাকে অজুহাত করে বাংলাদেশের বাগেরহাটের মোংলায় হিন্দুদের মন্দির ও তার ভেতরে থাকা প্রতিমা ভাঙ্গচুর চালায় দুষ্কৃতীরা।

জানাগেছে, চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর সর্বজনীন মন্দিরের সামনের মাঠে প্রায়শই ফুটবল খেলতে আসত অন্য এলাকার ছেলেরা। তা নিয়েই অশান্তির শুরু হয়। মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারীরা এর বিরোধিতা করে। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ ওই মাঠে খেলতে যায় স্থানীয় ছেলেরা। একই সঙ্গে খেলতে আসে অন্য এলাকার ছেলেরা। তখনই শুরু হয় অশান্তি ও কথা-কাটাকাটি। উভয় পক্ষই একে অপরকে শাসায়। পরিস্থিতি তখনকার মত ধামাচাপা পড়ে।

কিন্তু অন্য এলাকা থেকে খেলতে আসা ছেলেরা তখন চলে গেলেও, গভীর রাতে ভাঙ্গচুর করা হয় মন্দির ও মন্দিরের হিন্দু প্রতিমাগুলি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন আসিফ খান, রাহাত চৌধুরী, নয়ন মল্লিক। প্রতিমা ভাঙ্গচুরের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্দির ভাঙ্গচুর হোক বা হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া বা মহিলাদের শ্লীলতাহানি একের পর এক ঘটনায় সরকার বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। কিছুদিন আগে একটি ধর্মীয় বিষয়কে কেন্দ্র করেই নড়াইলে প্রধান শিক্ষককে জুতোর মালা পরিয়ে রাস্তা বের পর্যন্ত করা হয়েছিল।‌ এছাড়া লোহাগড়ের সাহাপাড়ায় বহু হিন্দুদের বাড়ি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, চালানো হয়েছিল অবাধে লুটপাট। ক্রমশই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হচ্ছে তা প্রমাণিত হল মোংলার এই ঘটনায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *