বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশসেবাই মূলমন্ত্র হিন্দু জাগরণ মঞ্চের, ১৫ হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিল খাবার

আমাদের ভারত, ৩১ মার্চ: দেশের এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কার্যকর্তারা অসহায় মানুষদের সাহায্য করে চলেছে। ব্যারাকপুর, মেদিনীপুর, বারুইপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতে দুস্থ মানুষ, রোজ আনা রোজ খাওয়া মানুষ, দৈহিকভাবে বিশেষ সক্ষম মানুষ এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আলু, তেল সহ খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ। সর্বে সন্তু নিরাময়া।।–এই মন্ত্র পাথেয় করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ৭০০- র বেশি কার্যকর্তা এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতেও দিন রাত মানুষের সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের কাছে চাল, ডাল, আলু, মুড়ি, সাবান ইত্যাদি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনের কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতামূলক লিফলেট, ব্যানার, মাইকিং মাধ্যমে জনগণকে সচেতন মূলক কাজও করছে। প্রায় ২০০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দক্ষিণবঙ্গ সম্পাদক উত্তম অধিকারীর জানান, এমন অনেক কার্যকর্তা এবং সংঘের স্বয়ংসেবক আছেন যাদের নিজেদের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা নেই বা দিনমজুর– তাঁরাও অসহায়, অভুক্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তাদের দু’মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন । উত্তমবাবু বলেন, দেশে এমন সংকটজনক পরিস্থিতি প্রথম বার দেখছি কিন্তু দেশে হাজার হাজার স্বয়ংসেবক যে ভাবে দেশ বা দেশবাসীর সেবার কাজে নিয়োজিত আছেন, এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন যেভাবে প্রতিনিয়ত সেবা কাজ করে চলেছেন তাতে দেশ যে কোনো সংকট পরিস্থিতি থেকে উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রচার প্রমুখ পারিজাত চক্রবর্তী জানান,পশ্চিম মেদিনীপুরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ প্রতিবন্ধী, বিধবা, রেশন কার্ড বিহীন প্রায় ৫০০টি পরিবারকে চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চাল, ডাল, আলু, সাবান সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পারিজাত চক্রবর্তীর চক্রবর্তীর বলেন, এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ‌আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য। সেই জন্য সমাজের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছানোর কাজ চলছে। তিনি জনসাধারণকে অনুরোধ করেন, যাতে তারা সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলেন এবং বাড়িতেই থাকেন। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করার জন্য ডাক্তার, নার্স, পুলিশ এবং সাংবাদিক দের সংগঠনের পক্ষ থেকে কুর্নিশ এবং ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *