ঐতিহাসিকরা আক্রমণকারীদেরই গুরুত্ব দিয়েছে, লুকানোর চেষ্টা করেছে হিন্দু রাজ্যগুলির গৌরবময় অধ্যায়: সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়

অশোক সেনগুপ্ত

আমাদের ভারত, ১৫ জুলাই: ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে ভারতীয়ত্ব ও জাতীয়তাবাদ আনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে, এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সওয়াল করলেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত) রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়।

সুদীপ্তবাবু এই প্রতিবেদককে জানান, “ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে গতানুগতিক ধারার অনুসরণ করা হয়েছে এতকাল। এর মূল কারণ ইতিহাস বিশারদদের নামে বিভিন্ন কমিটির ও নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে মার্ক্সবাদী ঐতিহাসিকদের আধিপত্য। ইরফান হাবিব, রোমিলা থাপার ইত্যাদি মার্ক্সবাদী ঐতিহাসিকরা ভারতের ইতিহাসকে তাদের অভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেছে। ফলে সেখানে আক্রমণকারী সুলতানী বংশ মুঘল সাম্রাজ্য অনেক গুরুত্ব পেয়েছে। লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে পূর্ববর্তী হিন্দু রাজ্যগুলির গৌরবময় অধ্যায় সমৃহ। মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল ছোট ছোট রাজ্যগুলির দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস ও তাদের একাধিক বীরের বীরত্বকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টা জারি থেকেছে।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে বঙ্কিম চন্দ্র থেকে বীর সাভারকারকে নিজেদের এজেন্ডা ও কখনও কখনও কোনও কোনও এক অদৃশ্য শক্তির অঙ্গুলি হেলনে বিকৃত করে দেখানো হয়েছে। মার্ক্সবাদী ঐতিহাসিকরা ছাড়াও এই ভাবে সম্পূর্ণ ইতিহাসকেই কেবল মাত্র একটা ঘরানার মধ্যে ফেলে অনান্য জাতীয়তাবাদী নেতা বিপ্লবীদের অবহেলা করে কেবল মাত্র গান্ধী নেহরু পরিবারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটেছে।

ফল স্বরূপ দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভারতের ইতিহাস অনেক অংশে ভারতীয়ত্ব বিহীন ছিল। কিন্ত আজ পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে শুরু হওয়ায় তথাকথিত সুশীল সমাজের মধ্যে হৈ চৈ শুরু হয়েছে যা প্রত্যাশিতই ছিল।“

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *