আমাদের ভারত, ৫ ফেব্রুয়ারি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজের নির্ধারিত সফরসচি অনুযায়ী আজ দেওঘরে শ্রী শ্রী অনুকূলচন্দ্র ঠাকুরের আশ্রমে যান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবার আগে ঠাকুরবাড়িতে যান, সেখানে তিনি আচার্য দেব অর্কদ্যুতি চক্রবর্তীর (বাবাইদার) সঙ্গে দেখা করেন। অমিত শাহ সৎসঙ্গ আশ্রমে প্রায় ১৮ মিনিট ছিলেন।
আচার্যদেব অমিত শাহকে শ্রী শ্রী ঠাকুরের লেখা তিনটি বই উপহার দেন। বইগুলি গুজরাটি হিন্দি ও ইংরেজিতে অনুবাদ করা। অমিত শাহের সঙ্গে তার স্ত্রী সোনাল শাহও ছিলেন। আচার্য দেবের স্ত্রী তাকে উপহার দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম সম্পর্কে নানা কথা জানান আচার্যদেব। তিনি বলেন, কিভাবে অখণ্ড ভারতে তার পূর্বপুরুষ বাংলাদেশের পাবনা থেকে এখানে এসে মনে প্রাণে এখানকার হয়ে গেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও
আচার্যদেবকে নিমন্ত্রণ করেন তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য। এরপর বিমানে তিনি দিল্লির জন্য বেরিয়ে যান।
দেওঘরে অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম ঘুরে যাওয়ার পর অমিত শাহ টুইটারে লেখেন, “আজ দেওঘরের প্রসিদ্ধ শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি শুধু দার্শনিকই নন, একজন চিকিৎসকও ছিলেন। তিনি দরিদ্র কল্যাণে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আশ্রমে তার প্রপৌত্র আচার্যদেব অর্কদ্যুতি চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এক আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা ছিল।”
শনিবার তার দুদিনের সফরে এসে তিনি দেওঘর গিয়েছিলেন। সেখান তিনি প্রথমেই বৈদ্যনাথ ধামে পৌঁছান। সেখানে তিনি ভোলেনাথের পুজো দেন। এরপর দেওঘরে একটি সভা থেকে তিনি ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভুল নীতির কারণে সাঁওতাল এলাকায় ডেমোগ্রাফিক বদল আসছে। তবে এই বদল তারা কখনোই হতে দেবেন না বলে আশ্বাস দেন। তাঁর অভিযোগ, সাঁওতাল পরগনার দুমকা, সাহেবগঞ্জ, পাকুরের মতো জেলাতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঘটছে প্রতিনিয়ত।