আমাদের ভারত, ৬ মে: স্বীকৃতি দেওয়া হোক সম লিঙ্গের বিবাহকে। এই মর্মে শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সমলিঙ্গে বিবাহে স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছে। একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও সমকামী সম্পর্কে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। এর পরিবর্তে বিশেষ কিছু সুবিধা দেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্র সরকার। বিষয়টি নিয়ে একটি সমীক্ষাও চালিয়েছে আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মহিলা সংগঠন রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির অধীনস্ত একটি শাখা। এই সংগঠন দেশের বিভিন্ন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে একটি সমীক্ষা করেছে। তারা দাবি করেছেন, এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে সমকামিতা এক ধরনের ব্যাধি।
সেই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সম লিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতি পেলে সমাজে এই ব্যাধি আরো ছড়িয়ে পড়বে। এই সমীক্ষার অংশ হিসেবে ৩১৮ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল এবং তাদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অ্যালোপ্যাথিক থেকে আয়ুর্বেদ সব ক্ষেত্রের চিকিৎসকরাই আছেন।
সমকামিতার ব্যাপারে তাদের মতামতের ভিত্তিতেই এই সমীক্ষা করা হয়েছে। এই সমীক্ষাতে সমকামিতাকে ব্যাধি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরএসএস- এর সংগঠন বলেছে, সমীক্ষায় উঠে এসেছে সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে সমাজে এই ধরনের ব্যাধি আরো ছড়াবে। সাধারণ হয়ে ওঠার বদলে মানুষ এতে আক্রান্ত হবেন।
এই ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলার জন্য কাউন্সিলিং করানো সবথেকে ভালো উপায় বলে উঠে এসেছে সমীক্ষায়।আরএসএস-এর ঐ শাখা সংগঠন দাবি জানিয়েছে, ভারতে সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই নিয়ে জনগণের মত নেওয়া জরুরি। এমনকি সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতির বিষয় সুপ্রিম কোর্টের খারিজ করে দেওয়া উচিত ছিল বলে এই সমীক্ষায় মত উঠে এসেছে।
দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতির দাবিতে দায়ের হাওয়া একাধিক পিটিশনে শুনানি চলছে। যা নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত গোটা দেশ।