বেতনের দাবিতে হাসপাতাল কর্মীদের বিক্ষোভ 

আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জুন: শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতাল করার আগে দু মাস বেতন না পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ দেখালেন। মুখ্যমন্ত্রীর ২রা জুনের নির্দেশক্রমে হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল করা 
হচ্ছে। এজন্য জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমলের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন জেলাশাসক। এরপর থেকে এই হাসপাতালে ভর্তি থাকা সাধারণ রোগীদের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে, ১০ জনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি ২৫-৩০ জনকে আজ কালের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানাগেছে।

এরই মধ্যে আজ শনিবার সকাল থেকে হাসপাতালে কর্মরত স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা দু মাস বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে হাাপাতালের দায়িত্বে থাকা জিন্দল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শালবনী থানার পুলিশ।

হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, কোভিড হাসপাতাল হওয়ার বিষয়টি তারা হঠাৎ জানতে পারেন এবং এজন্য  আউটডোর পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সকাল থেকে বন্ধ এমার্জেন্সি পরিষেবাও। এদিকে আমাদের প্রায় দু’ মাসের বেতন বাকি। কিছু স্বাস্থ্যকর্মীকে এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতন দেওয়া হয়েছে। মে মাসের বেতন সম্পূর্ণ বাকি। আমরা বারবার বেতন চাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন  ৩১ মে’র মধ্যে সমস্ত বকেয়া বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি বলেই আমরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছি। রাজ্য সরকার হাসপাতালটি অধিগ্রহণ করার আগে, আমাদের বেতন সম্পূর্ণভাবে মিটিয়ে দেওয়া হোক। তবে, এমার্জেন্সি রোগীদের কথা ভেবে তাঁরা পুরোপুরি কর্মবিরতিতে যাননি বলে জানিয়েছেন।

ইতিপূর্বে, মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে করোনা হাসপাতাল লেভেল-২ তেও মাসখানেক আগে বেতনের দাবিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। জেলা স্বাস্থ্য ভবন অবশ্য তখন অবস্থান স্পষ্ট করে স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতন মিটিয়ে দিয়েছিল। শালবনীতে এদিনের বিক্ষোভে অবশ্য জিন্দাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্মীদের ২ মাসের বেতন না পাওয়ার বিষয়টি শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো মেনে নিয়ে বলেছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here