করোনা থেকে বাঁচতে গোমূত্র পান, হাসপাতালে ভর্তি কাপড়ের ব্যবসায়ী

অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ১৮ মার্চ: করোনার সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে নিজেই গোমূত্র খেলেন এক কাপড়ের ব্যবসায়ী। আর তাতেই ঘটলো বিপত্তি। অসুস্থ হয়ে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে। এই ঘটনা ঝাড়গ্রাম শহরের।

ঝাড়গ্রাম পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকার বাসিন্দা শিবু গড়াই। পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী, বয়স ৪২ বছর। করোনা রুখতে খেয়েছিলেন এক ছিপি গোমূত্র। তারপরেই শরীর অস্থির করতে শুরু করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই ব্যক্তিকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। ১৫ দিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই দেড়শো টাকা দিয়ে ৪০০ এমএল গোমূত্রের শিশি কেনেন।

হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বুধবার শিবুবাবু বলেন, “টিভিতে খবরে দেখছিলাম সব জায়গায় গোমূত্র খাচ্ছেন সবাই। আবার বিজেপির নেতারাও গোমূত্র খাওয়ার কথা বলছেন আর নিজেরাও খাচ্ছেন। গোমূত্র খেলে আর করোনা হবে না। আমি আগে থেকে গোমূত্রের শিশি কিনে এনেছিলাম। কিন্তু সেটা এভাবে কাজে লাগবে সেটা ভাবিনি। এই রাজ্যেও একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। টিভিতে সেই শুনে ভয়ে ওই শিশি খুলে এক ছিপি খেয়ে ফেলি। সঙ্গে সঙ্গে গলা বুক জ্বালা করতে থাকে। বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। ঘামতে থাকি। মনে হচ্ছিল মরে যাব। সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এই ব্যাপারে ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রকাশ মৃধা বলেন, “যে কোনও প্রাণীদেহের বর্জ্য পদার্থ হল মুত্র। সেটা যে পরিশ্রুত নয়, তা তো বলাই যায়। মানুষের রোগ হলে আমরা মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করি। যে কোনও প্রাণীর ক্ষেত্রেই মূত্রে অনেক কিছুর মাত্রা কম বেশি থাকে। ইনফেকশন থাকে। এক্ষেত্রেও তেমনই কিছু ছিল। তার থেকেই উনার শরীরে রিঅ্যাকশন হয়েছে। কোনও অবৈজ্ঞানিক কিছু কখনও শরীর নিতে পারে না এটা সবাইকে বুঝতে হবে।”

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here