
আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ২৮ মার্চ: চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যখন ভাড়া বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া চলছে, ঠিক তখনই স্বাস্থ্যকর্মীদের ঠাঁই দিলেন সিউড়ির এক লজ ব্যবসায়ী। তাদের খাওয়া দাওয়ার দায়িত্বও তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে।সিউড়ি জেলখানা মোড়ে রয়েছে হোটেল সাগর। হোটেলের কর্ণধার তথা বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী। লকডাউন ঘোষণার পরেই তিনি সমস্ত কর্মীদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে বসে থেকে টিভির পর্দায় চোখ রেখে দেখেন দেশবাসীর কাছে এখন ঈশ্বর চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদেরই কেউ কেউ বাড়িতে ঠাঁই দিচ্ছেন না। তাতেই তার মনে নাড়া দেয়। সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার। সেই মতো জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের ইচ্ছার কথা জানান। এরপরেই তিনজন চিকিৎসক, পাঁচ জন নার্সের ঠাঁই হয়েছে সঞ্জয়বাবুর সাগর হোটেলে। এক ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসারেরও ঠাঁই হয়েছে ওই হোটেলে। তাদের দুবেলা খাওয়ানো হচ্ছে সাধ্য মতো।
সঞ্জয়বাবু বলেন, “এখন ভয়ংকর পরিস্থিতি চলছে দেশে। এই মুহূর্তে সমস্ত মানুষের উচিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাছাড়া চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তো নিজেদের জীবন বাজি রেখে মানুষের সেবা করে চলেছেন। তাই আমি তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রতিদিন মাছ-মাংস খাবারের মেনুতে দিতে না পারলেও আলু সেদ্ধ ভাত দেওয়া হচ্ছে। এই দেখে যদি আরও কিছু মানুষ এগিয়ে আসেন তাহলে দেশের মঙ্গল হবে। মানুষ মানুষের পাশে থাকবে এটাই তো নিয়ম। আমি সেই নিয়মের বাইরে যায় কিভাবে”।