
গোপাল রায়, আরামবাগ, ১০ মার্চ: অবৈধ সম্পর্কে জেরে এক গৃহবধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুর বাড়ির লাকজনের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশিদের অভিযোগ, প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে যাওয়া মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর আরামবাগের তিরোল এলাকায়।
জানাগেছে, নিহত মহিলার নাম রেবা বীর (৩৫)। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। তিরোল এলাকার বাসিন্দা পেশায় ভুটভুটি চালক রাজকুমারের সাথে কুড়িগ্রামের ওই মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়। সম্প্রতি পাশের বাড়ির এক যুবকের সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। গতকাল বিকেলে ঐ যুবকের সঙ্গে ঘরের ভিতর আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
রেবা দেবীর দাদার অসিত মালিকের অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় ওই ছেলেটির সাথে ধরা পড়ে গিয়েছিল বলে জানতে পারি এলাকাবাসীর মুখে। তারপর আমার বোনকে মেরে ঝুলিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা। আমরা খবর পেয়ে বোনের শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখি গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় ঝুলছে। এরপর বোনকে উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। অসিত মালিকের দাবি আমার বোন এইরকম ঘটনা যদি ঘটিয়ে থাকে এবং ওই ছেলেটির সাথে ধরা পরে, তা হলে কেন ছেলেটিকে পুলিশের হাতে তুলে দিল না। আমার বোনকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা থানায় জানিয়েছি।
রেবা দেবীর মেয়ে পূজা বীর জানায়, আমার মামা যে অভিযোগ করছে আমার বাবার বিরুদ্ধে তা মিথ্যা। দীর্ঘদিন ধরে আমার মায়ের সাথে পাশের বাড়ির সঞ্জয় রায়ের প্রেম ভালোবাসা ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় বাড়িতে মা ও ছেলেটি ধরা পড়ে যায়। এরপরে মা লজ্জায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।